TOP 3: ২০২২-এর এশিয়া কাপে শেষবার ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট দল (IND vs PAK)। তারপর থেকে যে টুর্নামেন্টেই দুই পক্ষের দেখা হয়ে থাকুক-শেষ হাসি কিন্তু হেসেছে ‘মেন ইন ব্লু’ই। কেবল ২০২৩-এর এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় কোনো ফলাফল পাওয়া যায় নি। ২০২৫-এর এশিয়া কাপে কি হবে ফলাফল? প্রশ্নের উত্তর মিলবে ১৪ তারিখ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশ গজে। রবিবারের মহারণের (IND vs PAK) জন্য প্রস্তুত দুই শিবিরই। গত বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ভারত প্রমাণ করে দিয়েছে যে ফর্মেই রয়েছে তারা। দিনকয়েক আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে পাকিস্তানও। বিশেষজ্ঞদের ধারণা রবিবার কোনো একজন নয়, বরং একাধিক তারকা হতে পারেন ম্যাচের ভাগ্যনিয়ন্তা। বিশেষ নজর থাকবে তিন জুটির উপর।
Read More: “ওদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে…” বেফাঁস মন্তব্য শাহীদ আফ্রিদির, ভারত-পাক ম্যাচের আগে উস্কে দিলেন বিতর্ক !!
বুমরাহ-কুলদীপ-

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (IND vs PAK) রবিবার ভারতীয় বোলিং-এর দুই প্রধান মুখ হতে পারেন জসপ্রীত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। এই মুহূর্তে নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। তাঁর হাতেই নতুন বল তুলে দেবেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পাওয়ার প্লে’তে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে ফেলাই হতে পারে লক্ষ্য। গতি ও নিয়ন্ত্রণের নিখুঁত মিশেলে একাধিক ব্যাটারকে যদি ইনিংসের শুরুতেই সাজঘরে পাঠাতে পারেন তারকা পেসার, তাহলে সহজেই ‘অ্যাডভান্টেজ’ ছিনিয়ে নিতে পারে ভারত। মাঝের ওভারে ‘মেন ইন ব্লু’র অস্ত্র হতে পারেন কুলদীপ যাদব। আমিরশাহীর বিপক্ষে ৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন চায়নাম্যান স্পিনার। রবিবারও দুবাইয়ের বাইশ গজে ফুল ফোটাতে পারেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (IND vs PAK) ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট রয়েছে কুলদীপের। তাঁর উজ্জ্বল পরিসংখ্যানও ভরসা যোগাচ্ছে ভারতীয় শিবিরকে।
অভিষেক-শুভমান-

রবিবারের ম্যাচে ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের জুটিও। এই মুহূর্তে কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ব্যাটার বলা হচ্ছে অভিষেককে (Abhishek Sharma)। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে আইসিসি র্যাঙ্কিং-এর শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর কেরিয়ার স্ট্রাইক রেট ১৯৪-এর আশেপাশে। আমিরশাহীর বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ না থাকলেও শুরুটা তিনি করেছিলেন ছক্কা মেরেই। দশ ওভার ক্রিজে যদি থেকে যান তিনি, তাহলে নিঃসন্দেহে ব্যাকফুটে চলে যাবে পাকিস্তান। ফর্মে রয়েছেন শুভমান’ও (Shubman Gill)। আইপিএলে ৬৫০ রান করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ৫ টেস্টে করেছেন ৭৫৪ রান। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেও ৯ বলে ২০ করে অপরাজিত ছিলেন পাঞ্জাবের তরুণ। শাহীন, হারিসদের সামলে ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে।
নওয়াজ-আবরার-

দুবাইয়ের উইকেট সাধারণত মন্থর, স্পিন সহায়কই হয়ে থাকে। তাই ভারতের বিরুদ্ধে ঘূর্ণি বোলিং-এ আস্থা রাখতে পারে পাকিস্তান দল (IND vs PAK)। তাদের স্পিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান দুই মুখ হতে পারেন মহম্মদ নওয়াজ এবং আবরার আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ৩১ বর্ষীয় নওয়াজ (Mohammad Nawaz)। শেষ ৫টি টি-২০তে তিনি নিয়েছেন ১০টি উইকেট। এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ফাইফারও রয়েছে। তাঁকে বিশ্বের সেরা স্পিনার আখ্যাও দিয়েছেন পাক কোচ মাইক হেসন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে দক্ষতার প্রমাণ দিতে মুখিয়ে থাকবেন তিনি। মাসখানেক আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শুভমান গিল’কে আউট করেছিলেন আবরার আহমেদ (Abrar Ahmed)। বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিলো তাঁর সেলিব্রেশন নিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটজনতার তোপের মুখে পড়েছিলেন তরুণ স্পিনার। রবিবারের ম্যাচে জবাব দেওয়ার চেষ্টায় থাকবেন তিনি।