TOP 3: সতেরো বছরের প্রচেষ্টাতেও আইপিএল (IPL) জয়ের স্বাদ পায় নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। চার বার ফাইনাল খেললেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। ব্যর্থতার অন্ধকার থেকে ২০২৫-এ মুক্তির খোঁজে ফ্র্যাঞ্চাইজি। ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে স্কোয়াডে তারা আনতে চলেছে ব্যাপক রদবদল। কোপ পড়তে পারে খোদ অধিনায়কের উপরেই। গত তিন বছর বেঙ্গালুরু দলের নেতার ভূমিকায় রয়েছেন ফাফ দু প্লেসি (Faf du Plessis)। তাঁর অধিনায়কত্বে দুইবার প্লে-অফে পৌঁছেছে দল। ব্যাট হাতেও যথেষ্ট ভালো পারফর্ম্যান্স করেছেন কিন্তু প্রোটিয়া তারকা’র জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁর বয়স। ইতিমধ্যেই ৪০ পেরিয়েছেন তিনি। আগামীর কথা ভেবে দু প্লেসির জন্য রিটেনশন স্লট খরচ করতে চাইছে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। হয়ত রিলিজই করা হবে তাঁকে। সেক্ষেত্রে নতুন ওপেনারের পাশাপাশি নতুন অধিনায়ক’ও প্রয়োজন হবে তাদের। নেতৃত্বের ব্যাটন উঠতে পারে তিন তারকার মধ্যে একজন।
Read More: কেবল ঈশান কিষণ নয়, ধ্বংসের পথে শুভমান গিলেরও টি-২০ কেরিয়ার, একসাথে নিতে পারেন অবসর !!
রজত পতিদার-
২০২১ সালে বেঙ্গালুরুতে (RCB) থাকলেও ৪ ম্যাচের বেশী সুযোগ পান নি রজত পতিদার (Rajat Patidar)। করেন ৭১ রান। স্বাভাবিক কারণেই রিলিজ করে দেওয়া হয়েছিলো মধ্যপ্রদেশের খেলোয়াড়কে। ২০২২ সালের আইপিএল নিলামে দলই পান নি। শেষমেশ লভনীত সিসোদিয়া ছিটকে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে শিকে ছেঁড়ে ভাগ্যে। ফের আরসিবি’তেই জায়গা পান রজত। মরসুমের একদম শেষ পর্বে এসে সুযোগ পেয়েছিলেন মাঠে নামার। জাত চিনিয়েছিলেন ব্যাট হাতে। ৫৫.৫০ গড়ে করেছিলেন ৩৩৩ রান। প্লে-অফে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের (LSG) বিপক্ষে করেছিলেন শতরান। এরপর ২০২৩ আইপিএলে (IPL) মাঠে নামতে পারেন নি চোটের কারণে। ২০২৪-এ ফিরে এসে ফের জ্বলে উঠেছিলেন ব্যাট হাতে। ৫টি অর্ধশতক করেন। মিডল অর্ডারের ভরসার মুখ ছিলেন রজত। এই মুহূর্তে ৩১ বছর বয়স তাঁর। রজতের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়ক খুঁজে নিতে পারে বেঙ্গালুরু।
কে এল রাহুল-
তালিকায় দ্বিতীয় নামটি হতে পারে কে এল রাহুলের (KL Rahul)। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস দলে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে মতানৈক্যের গুঞ্জন ছড়িয়েছে ক্রিকেটমহলে। যদি দল ছেড়ে নিলামে নাম লেখান রাহুল, তাহলে তাঁকে পেতে ঝাঁপাতে পারে বেঙ্গালুরু। এর আগে ২০১৬ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স জার্সিতে খেলেছেন তিনি। ৩৯৬ রান’ও করেছিলেন মিডল অর্ডারে খেলে। তারপর পাঞ্জাব (PBKS) ও লক্ষ্ণৌতে (LSG) কেরিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন তিনি। টানা চার মরসুম ৬০০’র বেশী রান করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ব্যাট হাতে। বেঙ্গালুরুতেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা তাঁর, তাই পুনরায় ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে মানিয়ে নিতে রাহুলের কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে পাঞ্জাব ও লক্ষ্ণৌ’কে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁকে পেলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবে বেঙ্গালুরু। দীর্ঘকালীন অধিনায়কের পাশাপাশি মিলবে দু প্লেসির বিকল্প ওপেনার’ও।
বিরাট কোহলি-
সকলকে চমকে দিয়ে আরও একবার অধিনায়কত্বে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০০৮ সালে আইপিএলের (IPL) জন্মলগ্ন থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু’র জার্সি গায়েই মাঠে নামছেন তিনি। এই নিয়ে আঠারোতম মরসুমে দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। ভারতীয় মহাতারকা দীর্ঘ সময় সামলেছেন নেতৃত্বভার। শেষমেশ ২০২২ সালের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পূর্ণ সময়ের অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেন। দু প্লেসি’কে রিলিজ করা হলে আরও একবার কোহলির শরণাপন্ন’ই হতে পারে কর্মকর্তারা। ২০২৩-এর আইপিএলে দু প্লেসি আহত থাকার সময় কিছু ম্যাচে কার্যনির্বাহী দায়িত্ব সামলেছেন বিরাট’ই। পুনরায় তাঁর কাঁধে চাপতে পারে পূর্ণ সময়ের দায়িত্ব। এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েও পুনরায় গ্রহণ করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০২৩-এ জিতেছিলেন ট্রফিও। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসে সাফল্য পান নি কোহলি। চেষ্টা করতে পারেন দ্বিতীয় ইনিংসে সাফল্য পাওয়ার।