এই মুহুর্তে বেশ সুষ্ঠুভাবেই আয়োজিত হচ্ছে ভারতের ঘরোয়া টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। কিন্তু তাঁর পরেই উঠছে প্রশ্ন, সফলভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পর বাকি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কি আয়োজন করা সম্ভব? করোনার এই কঠিন সময়ে কি আদৌ সম্ভব রঞ্জি ট্রফি আয়োজন করা? এবার সেই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই।
ঘরোয়া ক্রিকেটের বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির পর বিজয় হাজারে ট্রফি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। আর এরই সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ৮৭ বছরে এই প্রথম বারের মতো প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফি আয়োজন করা হবে না। ৫০ ওভারের বিজয় হাজারে ট্রফি এবং ভারত ও ইংল্যান্ড সিরিজের পাশাপাশি বিসিসিআই এখন মহিলাদের সিনিয়র ওয়ানডে ট্রফি এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিনু মানকড় ওয়ানডে ট্রফি আয়োজন করবে।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংগঠনগুলিকে পাঠানো চিঠিতে এমনটাই লিখেছেন। রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশ ও করোনার ভাইরাসের সুরক্ষাবিধিকে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাথে সাক্ষাৎকারে সচিব জয় শাহ বলেছিলেন, “আমি এটা জানাতে পেরে খুব আনন্দিত যে এবার আমরা বিজয় হাজারে ট্রফি এবং অনূর্ধ্ব -১৯ ভেনু মানকড় ট্রফির পাশাপাশি সিনিয়র মহিলা ওয়ানডে টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চলেছি।”
রঞ্জি ট্রফি বাতিল নিয়ে জয় শাহ জানিয়েছেন, করোনার এই সময়ে রঞ্জি ট্রফিটির মত একটি দীর্ঘ বিন্যাস টুর্নামেন্ট আয়োজন করা খুব কঠিন ছিল। তিনি আরও বলেছিলেন যে এখনও অবধি করোনার মহামারীর কারণে তাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলা ভালো যে, করোনার সময়কালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সফলভাবে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে। লিগ সহ সেমি ফাইনাল ম্যাচগুলি শেষ হয়ে গেছে এবং এখন কেবল ফাইনাল ম্যাচ বাকি। করোনার এই সময়ে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যেকার টেস্ট সিরিজের আগে এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক খবর। দুই দেশের মধ্যে টেস্ট সিরিজটি শুরু হচ্ছে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। দুই দেশের মধ্যে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা হবে।