আইপিএল মানেই এক রোমাঞ্চকর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা যা ভারতবর্ষের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে প্রসিদ্ধ। ২০২১ সালের ১৪তম আইপিএল এর আসর ভারতের মাটিতেই শুরু হয়েছিল কিন্তু ক্রমশ বাড়তে চলা করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় এবং সদস্য করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়েন তার ফলে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফ থেকে আইপিএল স্তগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এবং আইপিএল কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় স্তগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল আবার শুরু হবে কিন্তু আইপিএল এর বাকি ম্যাচগুলি দুবাইতে আয়োজিত হবে।
আইপিএল এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অনেক বিদেশী খেলোয়াড়রা অংশগ্রহন নাও করতে পারেন এমনটা খবর সূত্রে শোনা গেছে কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে সমস্ত রকম চেষ্টা করা হবে যাতে করে বিদেশী খেলোয়াড়রা অংশগ্রহন করতে পারে। দুবাইতে শুরু হতে চলা আইপিএল এর দ্বিতীয় পর্যায়ে বেশ কিছু দলের অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজস্থান রয়্যালস
তরুণ ভারতীয় অধিনায়ক সনজু স্যামসন এর নেতৃত্বে এই দলে অনেক বিদেশী খেলোয়াড় আছে, তাই যদি আইপিএল এর দ্বিতীয় পর্যায়ে সেই সব বিদেশী খেলোয়াড়রা না খেলেন তাহলে রাজস্থান রয়্যালসের টেবিলের প্রথম ৪এ জায়গা পাকা করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। যশ বাটলার, বেন স্টোকস, জোফ্রে আর্চার, লিয়াম লিভিংস্টোনে এবং মুস্তাফিজুর রহমান এর মতো বিদেশিদের নিয়ে এই দোল এবারে তাদের আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল কিন্তু আইপিএল এর দ্বিতীয় পর্যায়ে যদি তারা অংশগ্রহন না করে তাহলে অধিনায়ক সনজু স্যামসন এর পক্ষে একা দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
২বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন এই দল এই বছর তাদের আইপিএল অভিযান ভালো ভাবে শুরু করতে পারেনি, এখনো অব্দি ৭টি ম্যাচ খেলে মাত্র ২টি ম্যাচে তারা জয়লাভ করেছে। তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং এই বছর সেই ভাবে জলে উঠতে পারেনি এমনকি তাদের বিধংসী ব্যাটসম্যান তথা অধিনায়ক মরগ্যান এই বছর খুবি বাজে পারফর্মেন্স করেছেন। মরগ্যান,প্যাট কাম্মিনস,সাকিব উল হাসান, লকি ফার্গুসন এবং টিম সেইফার্ট এই বিদেশী খেলোয়াড়রা যদি আইপিএল এর দ্বিতীয় পর্যায়ে দুবাইতে দলের সাথে যোগদান না করেন তাহলে কে কে আর এর পক্ষে এই বছর আইপিএল যেটা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
আইপিএল এর দল নিজেদের বিদ্ধংসী পারফর্মেন্সের জন্য বরাবর পরিচিত। কিন্তু এই বছর তারা ৭টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতে আইপিএল টেবিলের সব থেকে শেষ স্থানে আছে। এই দলের প্রধান ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার এবং বেস্টও জুটি এই বছর সেই ভাবে নিজেদের পারফর্মেন্স মেলে ধরতে পারেননি, ওপেনিং জুটির পাশাপাশি তাদের বোলিং বিভাগ এবং মিডল অর্ডার এই বছর পুরোপুরি ক্রমাগত বাজে পারফর্মেন্স করে গেছে তার ফলে তারা শেষ স্থানে রয়েছে। কেন উইললামসন,ডেভিড ওয়ার্নার, জনি ব্রেস্টও, জেসন রয় এর মতো বিদেশী খেলোয়াড়রা যদি আইপিএল এর দ্বিতীয় পর্যায়ে দলের সাথে যোগ না দেন তাহলে এই বছর অরেঞ্জ আর্মি এর পক্ষে আইপিএল টেবিলের প্রথম ৪এও জায়গা হবে না এমনটাই আশা করা হচ্ছে।