ভারত (Team India) বিশ্বকে একাধিক স্পিনার দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অনিল কুম্বলে, বিশান সিং বেদিপল্লী প্রসন্ন, হরভজন সিং এবং প্রজ্ঞান ওঝা। গোটা বিশ্ব এই বোলারদের আলাদা করে জায়গা করে দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচকরা কিংবদন্তি স্পিনারকে সুযোগ দিচ্ছেন না। অথচ এই খেলোয়াড় কয়েক বলে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন। এই খেলোয়াড়ের কেরিয়ারে সংকটের মেঘ ঘনিয়ে আসছে।
এই খেলোয়াড়ের কেরিয়ার শেষের দিকে !
মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন বিরাট কোহলির হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দেন, তখন থেকেই টিম ইন্ডিয়াতে কম সুযোগ পেতে শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার জায়গায় কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল খেলতে থাকেন। ভালো পারফর্ম করার পরও টিম ইন্ডিয়াতে সুযোগ পাননি তিনি। এই অশ্বিন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অনেক ম্যাচ জিতেছেন নিজের মতো করে। ভারত ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। সেখানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অবদান সবচেয়ে বেশি। ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন অশ্বিন।
৫ বছর পর ফিরে আসেন
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নির্বাচকরা সুযোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি তার খেলা দিয়ে সকলের মন জয় করেছিলেন। কিন্তু তারপর তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। টিম ইন্ডিয়াতে তার জায়গা করে নিয়েছেন অনেক তরুণ খেলোয়াড়। এমতাবস্থায় তার ফেরা খুবই কঠিন মনে হচ্ছে। তার কেরিয়ারে ব্রেক দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে অবসর নেওয়া ছাড়া উপায় নেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।
আইপিএলে অসাধারণ
রবিচন্দ্রন অশ্বিন আইপিএল ২০২২-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। তিনি তার দলকে ফাইনালে নিয়ে যান। আইপিএল ২০২২-এর ১৭টি ম্যাচে তিনি ১৯১ রান এবং ১২টি উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলা দেখিয়ে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিও করেন তিনি।
ভারতের হয়ে তিনটি ফর্ম্যাটেই খেলেছেন
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতের চতুর্থ ক্রিকেটার যিনি তিনটি ফর্ম্যাটেই ৫০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের এক নম্বর স্পিনার এবং অনিল কুম্বলের পরে লাল বলের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তিনি ভারতের হয়ে ৮৬টি টেস্ট ম্যাচে ৪৪২ উইকেট, ১১২টি ওয়ানডেতে ১৫১টি এবং ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬১টি উইকেট নিয়েছেন।