KL Rahul: রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) অবসর নেওয়ার পর ভারতীয় দলের ওপেনিং স্লটে তাঁর শূন্যস্থান কে পূরণ করবে তা নিয়ে দেখা গিয়েছিলো সংশয়। সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণদের নাম ভাসছিলো ক্রিকেটমহলের অন্দরে। শেষমেশ চেনা মুখেই আস্থা রেখেছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। ইনিংসের শুরুতে যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন কর্ণাটকের কে এল রাহুল’কে। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর কাঁধে যে গুরুদায়িত্ব চাপিয়েছে তা এখনও অবধি যথাযথ ভাবে পালন’ও করেছেন ডান হাতি ব্যাটার। হেডিংলতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (IND vs ENG) দুই ইনিংসেই দাপুটে ব্যাটিং করেছেন তিনি। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় ডিউক বলের স্যুইং সামলানো কঠিন হয় উপমহাদেশের ব্যাটারদের জন্য। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে লেটার মার্কস পেয়ে পাস করেছেন কে এল রাহুল (KL Rahul)।
Read More: চলতি টেস্টেই চরম বিপাকে ঋষভ পান্থ, এক ম্যাচে নিষিদ্ধ সহ মোটা অঙ্কের জরিমানা করলো ICC !!
রাহুল’কে কুর্নিশ সুনীল গাওস্করের-

এক দশকব্যপী টেস্ট কেরিয়ারে বারবার নিজেকে ভেঙেছেন কে এল রাহুল (KL Rahul)। শুরুটা করেছিলেন ওপেনার হিসেবে। পরে রোহিতকে জায়গা করে দিতে নেমে যান পাঁচ নম্বরে। বর্তমানে ফের দলের স্বার্থে মুখোমুখি হচ্ছেন নতুন বলের। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের খেলার ধরণে যেভাবে বদল আনেন রাহুল (KL Rahul), তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সুনীল গাওস্কর (Sunil Gavaskar)। হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন “ও (রাহুল) একজন আদর্শ টিমম্যান। ওকে উইকেটকিপিং করতে যখন বলা হয়েছে ও তখন সেটাও করেছে। দলের জন্য আপনি সেটাই চান। যে কোনো পরিস্থিতিতে ও যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটা নজর কাড়া। চাপের মুখে মাথা ঠাণ্ডা রাখার একটা সহজাত দক্ষতা রয়েছে ওর মধ্যে, যেটা খুবই বিরল।”
রাহুল’কে (KL Rahul) দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে গাওস্কর (Sunil Gavaskar) বলেছেন, “আজকাল সবাই যখন নিজেকে জাহির করতে ব্যস্ত, তখন ওর উদ্যাপনগুলোও বেশ নম্র। সবাই এই বিষয়ে একমত যে ও নিজেও জানে না ও ঠিক কতটা বড় মাপের খেলোয়াড়। আমার মনে হয় ও নিজেও এই বিষয়ে সম্মতি জানাবে।” হেডিংলতে প্রথম ইনিংসে ৪২ রান করেন রাহুল। তাঁর ব্যাটিং মনে ধরেছে ‘লিট্ল মাস্টার’-এর। তিনি বলেছেন, “ফ্রন্টফুট, ব্যাক ফুট বা সোজা ব্যাটে যে ড্রাইভগুলো মারে সেগুলো দেখতে দুর্দান্ত লাগে। এই মুহূর্তে যে কভার ড্রাইভটা মারলো সেটাও অনবদ্য। আমি ঐ কভার ড্রাইভের ভূয়সী প্রশংসা করতে পারি কারণ ওটা নিখুঁত ছিলো। আমি আশা রাখছি যে এই সিরিজে ও দারুণ সাফল্য পাবে। ৫০০ বা হয়ত ৭০০ রান করবে। সেটা ভারতের জন্যও দারুণ হবে।”
দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান KL রাহুলের-

প্রথম দিন লাঞ্চের বিরতির ঠিক আগে ব্রাইডন কার্সের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বসেছিলেন কে এল রাহুল। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ মারতে গিয়ে খুইয়েছিলেন উইকেট। ৪২ করে থামতে হয়েছিলো তাঁকে। দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনোরকম ভুলচুক করেন নি তিনি। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে যতক্ষণ ব্যাটিং করেন, বেশ জমাট লেগেছিলো তাঁকে। অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রান করে। চতুর্থ দিনের সকালেও অনবদ্য ইনিংস খেলেন ভারতীয় ওপেনার। ঋষভ পন্থের সাথে দীর্ঘ জুটি গড়েন তিনি। ইনিংসের ৬২তম ওভারে শোয়েব বশিরের বলে দুই রান নিয়ে সম্পূর্ণ করেন টেস্ট কেরিয়ারের নবম শতরান। এই নিয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় শতক করলেন তিনি। প্লেইড-অন হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৪৭ বলে ১৩৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন টিম ইন্ডিয়ার ‘মিস্টার ডিপেন্ডেব্ল।’