চেতেশ্বর পূজারার মত কিংবদন্তিকে সরিয়ে শুভমান গিল’কে (Shubman Gill) টেস্ট দলের তিন নম্বরে ব্যাটিং-এর সুযোগ করে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সেই আস্থার প্রতিদান এখনও দিয়ে উঠতে পারেন নি পাঞ্জাবের তরুণ ক্রিকেটার। ধারাবাহিকতার দেখা পাওয়া যায় নি তাঁর ব্যাট থেকে। দেশের মাঠে ইংল্যান্ড বা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান পেলেও বিদেশের মাঠে একেবারেই সাবলীল দেখায় নি তাঁকে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রান পান নি। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও তিনটি টেস্টে মাঠে নেমে হতাশই করেছেন তিনি। ২০২১-এ গাব্বাতে করা ৯১-এর পর উপমহাদেশের বাইরে একটি ইনিংসেও অর্ধশতকের গণ্ডী পেরোতে পারেন নি শুভমান (Shubman Gill)। আর কত দিন সুযোগ দিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে? প্রশ্ন তুলে এবার সরব হলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (Krishnamachari Srikkanth)।
Read More: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাদ গৌতম গম্ভীর, নতুন হেড মাস্টার পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া !!
শুভমানকে নিয়ে ‘বিরক্ত’ শ্রীকান্ত-
দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে শুভমানের (Shubman Gill) ব্যাটিং গড় ১৮.৫০, ইংল্যান্ডে ১৪.৬৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২২.৫০। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে মন্দের ভালো বলা চলে। সেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৫.২০। এহেন পরিসংখ্যান সত্ত্বেও কেন দিনের পর দিন বয়ে বেড়ানো হচ্ছে পাঞ্জাবের ক্রিকেটারকে? প্রশ্ন তুলে দিলেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (Krishnamachari Srikkanth)। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি সাফ বলেন, “আমি বরাবরই বলে এসেছি যে শুভমান গিল খুবই ওভাররেটেড একজন ক্রিকেটার। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনে নি। শুভমান সত্যিই খুব ওভাররেটেড একজন খেলোয়াড়।” তাঁর প্রতি অত্যধিক সদয় বিসিসিআই, অভিযোগ শ্রীকান্তের। বলেন, “গিল’কে যখন এত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তখন প্রশ্ন ওঠে যে সূর্যকুমার যাদবের মত কাউকে কেন টেস্টে আরও কিছু বাড়তি সুযোগ দেওয়া হলো না?”
“সূর্যকুমারেরও টেস্টে শুরুটা ভালো হয় নি। কিন্তু ওর সেই টেকনিক রয়েছে, দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচকেরা এখন ওকে সাদা বল স্পেশ্যালিস্ট হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছেন। যাতে তাঁরা নতুন প্রতিভাদের দিকে নজর দিতে পারেন,” সংযোজন শ্রীকান্তের। এর পরেও শুভমানের (Shubman Gill) দিকে আঙুল তুলে প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, “ও যদি তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার হত তাহলে কবেই বাদ পড়ে যেত। (শুভমান) গিল এখন সুযোগ পায় কারণ ওকে দশটা ম্যাচে খেলানো হয়। নয়টাতে ব্যর্থ হওয়ার পর দশম ম্যাচটাই ও কিছু রান করে। আর তার সুবাদে আরও দশটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে যায়। ভারতের পিচে তো যে কেউ রান করতে পারে। কিন্তু SENA দেশগুলোতে রান করাই আসল চ্যালেঞ্জ। সেই পরীক্ষাতে কে এল রাহুলের মত খেলোয়াড়রাই পাস করতে পারে।”
ঋতুরাজ-সাইদের হয়ে সওয়াল শ্রীকান্তের-
শুভমান গিল (Shubman Gill) নয়, আরও বেশী সুযোগ প্রাপ্য ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad), সাই সুদর্শনদের, মনে করেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। শ্রীলঙ্কা সফরে ঋতুরাজ বাদ পড়ার পরেও সরব হয়েছিলেন তিনি। “সীমিত ওভারের দুই ফর্ম্যাটেই ওর নিয়মিত খেলা উচিৎ,” জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির পর ইউটিউব ভিডিওতে তিনি ফের বলেন, “…উদাহরণস্বরূপ ঋতুরাজ গায়কোয়াড় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারর্ম করছে। কিন্তু ওরা (নির্বাচকেরা) ওকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেই না। এমনকি ভারত ‘এ’-র হয়ে সফরগুলিতে সাই সুদর্শন’ও প্রচুর রান করেছে। ওদের তুলে আনা উচিৎ। কিন্তু তা না করে ওরা (নির্বাচকেরা) বারবার শুভমান গিল’কে সুযোগ দিয়ে চলেছেন।” সামনে রয়েছে ইংল্যান্ডের সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওডিআই-তে সুযোগ পাওয়ার কথা শুভমানের। ঋতুরাজ-সাইদের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা অবশ্য খুবই কম।