আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, তাতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশি দল। তবে তাদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ খেলোয়াড়ের উপর, এমনকি ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও টেপ তাতে শোনা গিয়েছে ফিক্সিং-এর নানা কথা। এবার পুরুষ ক্রিকেট নয় বাংলাদেশি মহিলা ক্রিকেটে এই লজ্জাজনক ঘটনাটি সামনে উঠে এসেছে, যে অডিও টেপ প্রকাশ হয়েছে সেটি নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় বাংলাদেশি দলের দুই প্লেয়ার লতা মন্ডল (Lata Mondal) ও শেফালী আখতারের মধ্যে। বর্তমানে লতা দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি দলের সাথে। অন্যদিকে শোহেলি (Shohely Akhter) বর্তমানে যিনি বাংলাদেশে রয়েছেন। ভাইরাল অডিও টেপ অনুসারে, লতা মন্ডলকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন শোহেলি আখতার, এই বিষয়টি সামনে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর।
বিসিবির কাছে লতার অভিযোগ

শোহেলি অডিওতে বলেছেন, “জোর করে আমি কিছু করছি না। চাইলে আপনি খেলতে পারেন। আপনি বেছে নিন কোন ম্যাচটি ফিক্স করতে চান। যখনই চাইবেন তখনই আপনি ফিক্সিং করতে পারেন এবং যদি আপনি ফিক্সিং করতে না চান তাহলে কোন রকম সমস্যা নেই।” লতা মন্ডল জবাবে বললেন, “না বন্ধু, এসবের সাথে আমি জড়াতে চাই না। এসব আমাকে করতে বলবেন না। আমি কখনোই এই কাজগুলো করতে পারবো না। আপনাকে আমি অনুরোধ করছি এই জিনিসগুলো দয়া করে আমাকে বলবেন না।” এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে লতা পরে অভিযোগ করেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “এইসব বিষয় দেখছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটি। এই বিষয়টি বিসিবির তদন্তের বিষয় নয়।” শোহেলি গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শোহেলি আখতার বলেন, “আমাকে ফোন করেছিল যমুনা টিভি এবং যা সত্য সেটাই আমি বলেছিলাম। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমি কোনো টিম প্লেয়ার বা বুকির সাথে যোগাযোগ করতে চাইবো কিনা, আমি পরে সত্যি কথাটাও বলে দেই।“
দেশের বিপক্ষে যাবেন না শোহেলি

শোহেলি আরও বললেন, “আমার এক ফেসবুক বন্ধুর সাথে দুদিন আগে দেখা হয়েছিল এবং আমাকে সে বলেছিল যে এশিয়া কাপে আমরা শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচ ফিক্স করে হেরেছি, তাকে আমি বলেছিলাম যে এমন কিছুই হয়না আর আমরা সকলেই চেয়েছিলাম ম্যাচটা জিততে, এমনকি তাকে এটাও বলি যে, আমাকে যদি আপনি ম্যাচ ফিক্স করতে বলেন, আমি অবশ্যই না বলব কারণ আমার দেশের সঙ্গে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করব না। এমনকি তার সাথে আমার অনেক রাগারাগি হয়, তাকে আমি বললাম, যতই প্রস্তাব তুমি করো না কেন, মেনে নেবে না কেউ। আমি তাকে প্রমান দিতেও রাজি ছিলাম, কিন্তু এভাবে তার সাথে তর্ক করে এগিয়ে যাওয়াটাই ছিল সবথেকে বড় ভুল আমার।“