গত বছরের জুনে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর একসাথেই কুড়ি-বিশের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও রোহিত শর্মা। চলতি বছরের মে মাসে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে টেস্ট জার্সিও চিরতরে তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে কেবল ওয়ান ডে’তে ফোকাস করতে চান দুই মহারথী। ২০২৩-এর বিশ্বকাপে তীরে এসে তরী ডুবেছিলো ভারতীয় দলের। ফাইনালে আহমেদাবাদের মাঠে ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। সেই আক্ষেপ যে দু’জনেই মেটাতে চান তা স্পষ্ট কোহলি (Virat Kohli) ও রোহিতের (Rohit Sharma) সিদ্ধান্ত থেকেই। কিন্তু আদৌ ২০২৭ অবধি ক্রিকেটের ধকল সইতে পারবে তাঁদের শরীর? মাঠে নামলেও কতটা কার্যকরী হতে পারবেন তাঁরা? সম্প্রতি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিলো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। রো-কো জুটির দক্ষতায় সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর, জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
Read More: “মেরে ফুলিয়ে দিয়েছে…” ইংলিশ বোলারদের নিশানায় ঋষভ পন্থ, স্ট্যাম্প মাইকে ধরা পড়লো আর্তনাদ !!
রোহিত-কোহলিকে নিয়ে আশাবাদী মহারাজ-

২০২৭-এ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে হওয়ার কথা ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। তার আগে মাত্র ২৭টি ওয়ান ডে খেলার সুযোগ পাবে টিম ইন্ডিয়া। এই স্বল্প প্রস্তুতিতে কি বড় মঞ্চের জন্য আদৌ টিম ইন্ডিয়ার দুই কিংবদন্তি প্রস্তুত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ৩৮ পেরিয়েছিলেন রোহিত (Rohit Sharma), নভেম্বরে ৩৬-এ পা দেবেন বিরাট’ও (Virat Kohli)। এমতাবস্থায় কতটা কার্যকরী থাকবেন তাঁরা? প্রশ্ন করা হয়েছিলো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)। চ্যালেঞ্জটা যে কঠিন তা মেনে নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, “বছরে মাত্র ১৫টা করে ম্যাচ রয়েছে। (বিশ্বকাপ খেলা) সহজ হবে না।” দুই মহারথীর জন্য তাঁর পরামর্শ কি? প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমি ওদের কোনো পরামর্শই দিতে চাই না। আমি ক্রিকেট সম্বন্ধে যা জানি, ওরাও তাই জানে। আমার মতে ওরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।”
ইংল্যান্ড সফরের ঠিক আগে ভারতীয় টেস্ট দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁদের না থাকা সাময়িক সমস্যায় ফেলতে পারে টিম ইন্ডিয়াকে, মেনে নিয়েছেন সৌরভ (Sourav Ganguly)। তবে তিনি আস্থা রাখতে চান পরবর্তী প্রজন্মের উপর। সামলে নেবেন শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল’রা, আশাবাদী প্রাক্তন অধিনায়ক। PTI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বিরাট একটু আলাদা। ও উঁচুদরের ক্রিকেটার। ওর আদর্শ বিকল্প খুঁজে নিতে খানিক সময় লাগবে ঠিকই। কিন্তু অন্যান্যদের নিয়ে আমি মোটেই বিশেষ চিন্তিত নই। শুভমান যেভাবে (ইংল্যান্ডে) খেলেছে তাতে আমি একটুও অবাক নই। বিদেশের মাঠে ওর পায়ের নড়াচড়া দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। দারুণ উন্নতি করেছে।” ঋষভ পন্থ-এর প্রশংসা করেন তিনি। “ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিভার অভাব নেই,” দৃপ্ত গলায় জানিয়েছেন মহারাজ।
দেখুন সৌরভের সাক্ষাৎকার-
https://youtube.com/shorts/E4IiuhzjwvI?si=tfiC32hyOO5W0752
যুবরাজ’কে ‘স্পেশ্যাল’ বললেন সৌরভ-

সাদা বলের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ম্যাচ উইনার যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। দেশের জার্সিতে জিতেছেন ২০০৭-এর টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১১-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। তাঁকে ‘স্পেশ্যাল’ তকমা দিলেন সৌরভ। বলেছেন, “নাইরোবিতে যখন যুবরাজকে প্রথম দেখেছিলাম তখনই মনে হয়েছিলো যে ও স্পেশ্যাল। এরপর ওয়ান ডে’তে ও যা করেছে তা অভাবনীয়। ২০০৭-এর টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ছিলো। ২০১১-র বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় ছিলো। রান, উইকেট, ফিল্ডিং- সব দিন দিয়েই ও স্পেশ্যাল।” যুবরাজের টেস্ট কেরিয়ার বিশেষ দীর্ঘায়িত না হওয়ায় আক্ষেপের সুরও শোনা গেলো তাঁর গলায়। সৌরভ (Sourav Ganguly) বলেছেন, “৩০টা মত টেস্ট খেলেছে ও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাহুল দ্রাবিড়, শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ’দের মাঝে আটকা পড়েছিলো। কিন্তু ও স্পেশ্যাল খেলোয়াড়।”