তাকে নিয়ে তৈরী হওয়া বিতর্কের পর,অবশেষে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় 1

এবারের আইপিএলে প্রথম ম‍্যাচ খেলতে নামার আগে একটা সাক্ষাৎকারে দিল্লি ক‍্যাপিটালস দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন ক্রিকেটার হিসেবে পরিনত হতে তাকে সাহায্য করেছেন রিকি পন্টিং, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।এবার দিল্লি দলের কোচ পন্টিং।গতবার এই দলের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ।বর্তমানে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।একটি পদে আসীন থাকা সত্বেও কিভাবে তিনি আইপিএলের অন‍্যান‍্য দল গুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন ? আইয়ারের করা এমন মন্তব্যের পর থেকেই অনেকেই তুলেছিলেন এই প্রশ্ন।এক্ষেত্রে “স্বার্থের সংঘাত” এর বিষয়টি সকলে সামনে এনেছিলো।

এতোদিন এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরী হলেও মুখ খোলেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সম্প্রতি তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দেশের হয়ে ৫০০ এর বেশি ম‍্যাচ খেলেছেন তিনি, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশের হয়ে,তাই দেশের তরুণ প্রতিভাদের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন তিনি।এক্ষেত্রে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন স্বার্থের সংঘাতের প্রসঙ্গটি।
তাকে নিয়ে তৈরী হওয়া বিতর্কের পর,অবশেষে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় 2

” গত বছর আইয়ার’কে সাহায্য করেছিলাম আমি।এখন আমি হয়তো বোর্ড প্রেসিডেন্ট, কিন্তু ভুলবেন না দেশের হয়ে ৫০০ ম‍্যাচ (৪২৫ ) খেলেছি আমি।তাই যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতেই পারি আমি ,শ্রেয়স হোক কি বিরাট।যদি তাদের কোনও সাহায্যের দরকার পরে, আমি সবসময় তাদের পাশে আছি “, এমনটাই জানিয়েছেন সৌরভ।

তার মন্তব্য ঘিরে দেখা দিয়েছিলো বিতর্ক তাই পরবর্তী সময়ে ব‍্যাপারটিকে নিঃস্পত্তি করার চেষ্টা করেছিলেন আইয়ার।সরাসরি কিছু না বললেও, টুইট করেন তিনি।

” তরুণ অধিনায়ক হিসেবে আমি রিকি পন্টিং এবং দাদা’কে ধন্যবাদ জানাবো গত মরসুমের জন্য।আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।কারণ ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে আমাকে সমৃদ্ধ করেছেন তারা “, এমনটাই টুইট করেন আইয়ার।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে শ্রেয়স আইয়ার এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ,দুজনেই আছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে, একজন আইপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার দল দিল্লী ক‍্যাপিটাল’স কে।এই মরসুমের শুরু থেকেই দারুণ এক ছন্দে আছে দিল্লি।অন‍্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি জয় শাহ’র সঙ্গে প্রায় প্রতিটি আইপিএলের ম‍্যাচ দেখতে উপস্থিত থাকছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *