দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টিম ইন্ডিয়া দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে এবং নয় উইকেটে জিতেছে। স্মৃতি মান্ধানা, দুর্দান্ত ব্যাটিং করে মাত্র ৬৪ বলে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ম্যাচটিতে হাফ সেঞ্চুরির করে মান্ধানা তার নামে একটি বিশেষ রেকর্ড পূর্ণ করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে রান তাড়া করতে গিয়ে পরপর দশমবার মান্ধানা ৫০ এর বেশি রান করেছেন। আর এরই সাথে তিনি বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার (পুরুষ এবং মহিলা উভয়) হয়ে উঠেছেন যিনি এমনটা করেছেন। মান্ধানা ছাড়াও পুনম রাউতও ভাল ব্যাটিং করেছিলেন এবং ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
৮০ রানের অপরাজিত ইনিংসের জন্য মাধনা মাত্র ৬৪ বলের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং এই সময়ে ১০টি বাউন্ডারি এবং তিনটি দীর্ঘ ছক্কা মারেন।
ওয়ানডে ক্রিকেটে তাড়া করতে নেমে মান্ধানা, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান সুজি বেটসকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন, যিনি টানা নয়টি ইনিংসে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন। এই দুজন ছাড়া পুরুষ বা মহিলা ক্রিকেটের কোনও ব্যাটসম্যান ছয়বারের বেশি ৫০ রানের বেশি রান করতে পারেনি তাড়া করতে গিয়ে।
মান্ধানা (৬৪ বলে অপরাজিত ৮০) এবং রাউত (৮৯ বলে অপরাজিত ৬২) দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৮ রানের এক অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আর এর জেরে ভারত ২৮.৪ ওভারে এক উইকেটে ১৬০ রান করে সহজ জয়ের নিয়ে আসে।
ঝুলন গোস্বামী তাঁর অভিজ্ঞতাকে ভারতের পক্ষে বোলিংয়ে ভালো ব্যবহার করেছিলেন। ঝুলন ১০ ওভারে ৪২ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি ছাড়াও ৩৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়এবং ২৩ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নিয়ে মানসী জোশী দক্ষিণ আফ্রিকার দলটিকে ৪১ ওভারের মধ্যে অল আউট করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ভারতের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ের সামনে খোলামেলা খেলতে পারেনি। তার পক্ষে লারা গুডাল ৭৭ বলে ৪৯ রান করেছিলেন। তিনি ছাড়াও অধিনায়ক সান লুস ৫৭ বলে ৩৬ রানের অবদান রেখেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেবল পাঁচ ব্যাটসম্যানই ডাবল ডিজিটে পৌঁছেছেন।