লিডসে টিম ইন্ডিয়ার ৩৭তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। নেতৃত্বের অভিষেক বিশেষ স্মরণীয় হয় নি তাঁর। দুর্দান্ত শতরান করলেও দিনের শেষে ভাগ্যে জুটেছে পরাজয়’ই। আতসকাঁচের নীচে এসেছে শুভমানের (Shubman Gill) অধিনায়কত্ব। রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলির মত ‘অরা’ তাঁর মধ্যে চোখে পড়ছে না, সমালোচনার সুরে বলতে শোনা গিয়েছে ইংল্যান্ড প্রাক্তনী নাসের হুসেন’কে (Nasser Hussain)। নিজের মতামত দলের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে শুভমান’কে (Shubman Gill), পরামর্শ দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। তাঁর অধিনায়কত্ব বিশ্লেষণ করার সময় উঠেছে ম্যাকিয়াভেলি’র ‘দ্য প্রিন্স’ প্রসঙ্গ’ও। সতীর্থদের ‘কাছের মানুষ’ হয়ে ওঠার পাশাপাশি তাঁদের সমীহ আদায় না করতে পারলে অধিনায়ক হিসেবে সাফল্য পাবেন না ফাজিলকার তরুণ, নিদান দিয়েছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
Read More: দ্বিতীয় টেস্টের আগেই চরম বচসা, প্রধান কোচের সামনেই পদত্যাগ করলেন অধিনায়ক !!
সাই সুদর্শনকে চাইছেন শুভমান-

প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে পরাজয়ের পর টিম ইন্ডিয়াকে(Team India) ছক বদলের পরামর্শ দিচ্ছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ। স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন যে করুণ নায়ারকে ব্যাটিং অর্ডারের ছয় নম্বর থেকে তিনে তুলে আনা হোক। নীতিশ কুমার রেড্ডিকে সুযোগ দেওয়া হোক লোয়ার অর্ডারে। প্রয়োজনে সাই সুদর্শনকে বাদ দিতে যেন দ্বিধা না করে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সূত্রের খবর যে অধিনায়কের অবস্থান একদম ভিন্ন মেরুতে। লিডসেই টেস্ট অভিষেক হয়েছে সাইয়ের (Sai Sudharsan)। তামিলনাড়ুর তরুণ দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে ০ ও ৩০ রান। আহামরি পারফর্ম্যান্স না থাকা সত্ত্বেও বছর ২৩-এর তরুণকে বার্মিংহ্যামে বাদ দিতে মোটেই রাজী নন শুভমান গিল (Shubman Gill)। তিনি তিন নম্বরেই খেলাতে চাইছেন সাই সুদর্শন’কে।
গুজরাত টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একসাথেই খেলেন সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল (Shubman Gill)। চার বছর তামিলনাড়ুর তরুণকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন পাঞ্জাবের তারকা। তাঁর প্রতিভা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি। এই বছরের আইপিএলে সফলতম ওপেনিং জুটি’ও গড়েছিলেন তাঁরা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন সাই। সেই কারণেই মাত্র একটি ম্যাচে ব্যর্থতার পর বাম হাতি তারকাকে ছেঁটে ফেলতে চান না ভারতীয় অধিনায়ক। বরং ধৈর্য্য ধরতে চান তাঁকে নিয়ে। এছাড়া ইংল্যান্ডের মাঠে কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাইয়ের (Sai Sudharsan)। পরিবেশ, পরিস্থিতির সাথে পরিচিত তিনি। এজবাস্টনে তাঁকে খেলাতে চাওয়ার ক্ষেত্রে যা অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় সুযোগে অধিনায়কের আস্থার দাম দেবেন সাই? প্রশ্নের জবাব মিলবে কিছুদিনের মধ্যেই।
কেমন হতে পারে ভারতীয় একাদশ ?

এজবাস্টনে পেস বিভাগের প্রধান অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) যে খেলছেন না তা নিশ্চিত। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। ডান হাতি পেসারের বদলি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন আর্শদীপ সিং ও আকাশ দীপ। তাঁদের দু’জনের মধ্যে কোনো একজন’কে মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার সাথে তৃতীয় ফ্রন্টলাইন পেসার হিসেবে একাদশে সামিল করা হতে পারে। এছাড়া বাদ পড়ার সম্ভাবনা পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরেরও। তাঁর বদলি হিসেবে খেলতে পারেন বিশাখাপত্তনমের তরুণ নীতিশ কুমার রেড্ডি (Nitish Kumar Reddy)। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই কুলদীপ যাদবের পক্ষে সওয়াল করছেন। কিন্তু এজবাস্টনে তাঁর খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। একমাত্র স্পিনার হতে পারেন রবীন্দ্র জাদেজাই। ব্যাটিং অর্ডারে সম্ভবত কোনো রকম পরিবর্তনের পথে হাঁটবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল।