আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডের দল ১১২ রানের স্কোরে আউট হয়ে গিয়েছিল। এই লক্ষ্যের জবাবে ভারতীয় দলও ১৪৫ রানের স্কোরে আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের দল ৮১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। ৪৯ রানের লক্ষ্যকে ভারত সহজেই কোনো উইকেট না হারিয়ে হাসিল করে এন্য। ভারতীয় দল এই ম্যাচ ২ দিনেরও কম সময়ে জিতে গিয়েছিল। এই টেস্ট ম্যাচ মাত্র ১৪০.২ ওভার পর্যন্ত চলে। এই কারণে পিচ নিয়েও যথেষ্ট সমালোচনা হচ্ছে।
আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে ক্ষুব্ধ শোয়েব আকতারও
ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকারা সহ ক্রিকেট সমর্থকরাও এই পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যুবরাজ সিং, মাইকেল ভন, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মার্ক ওয়া, হরভজন সিং, ডেভিড লয়েডের মতো তারকারা পিচের সমালোচনা করেছিলেন। এখন এই তালিকায় পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আকতারেরও নাম যুক্ত হয়ে গিয়েছে। তিনিও আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে দারুণ সমালোচনা করেছেন।
ভারতের ইংল্যান্ডকে ভয় পাওয়া উচিত ছিল না : শোয়েব আকতার
পাকিস্তানের পাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আকতার নিজের একটি বয়ানে বলেছেন, “ আমার মনে হয় যে টিম ইন্ডিয়া ভীষণই শক্তিশালী। এই অবস্থায় টেস্টের জন্য ভালো পিচ তৈর করতে হত। আমার মনে হয় যে টেস্টের অন্য ভালো পিচেও ভারত ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিত। ওদের না তো ভয় পাওয়ার দরকার রয়েছে আর না তো ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচের মতো উইকেট তৈরি করার প্রয়োজন ছিল আমি জিজ্ঞাসা করছি যে অ্যাডিলেড আর মেলবোর্নে টিম ইন্ডিয়ার জন্য কী সাহায্যপূর্ণ পিচ তৈরি করা হয়েছিল? ওখানে ভারত কীভাবে সিরিজ জিতল? ভারতকে এই বিষয়ের দিকে অবশ্যই মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল”।
এই ধরণের উইকেটে টেস্ট ম্যাচ হওয়া উচিত নয়
শোয়েব নিজের কথা আগে আরও বলেন, “ টেস্ট ম্যাচ কি এই ধরণের উইকেটে খেলা হওয়া উচিত, একদমই নয়। এমন একটা পিচ যেখানে বিনা কারণে বল এত বেশি টার্ন করছিল আর ম্যাচ মাত্র দুদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এটা টেস্ট ক্রিকেটের স্বাস্থ্য আর তার জনপ্রিয়তার জন্য ভালো নয়। আমার মনে হয় যে এটা একটু বেশিই ছিল। এই ম্যাচে যদি ভারত ৪০০ রান করত আর ইংল্যান্ড ২০০ রানে অলআউট হয়ে যেত, তো বলা যেতে পারত যে অতিথি দল খারাপ খেলেছেন, কিন্তু এখানে তো টিম ইন্ডিয়াও ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। যদি ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়াকে তাদের দেশে হারাতে পারে তো তাদের স্পিনারদের সাহায্যপূর্ণ পিচ তৈরি করার কোনো প্রয়োজন ছিল না”।