২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিলো শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan)। আন্তর্জাতিক আঙিনায় দিল্লীর বাম হাতি ব্যাটারের পথচলা শুরু হয়েছিলো ওডিআই ফর্ম্যাটে। ২০১১ সালে প্রথমবার খেলেন টি-২০। টেস্ট অভিষেকের জন্য আরও বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে হয়েছিলো শিখরকে (Shikhar Dhawan)। এরপর টানা এক দশকেরও বেশী সময় দাপিয়ে খেলেছেন তিনি। কুড়ি-বিশের ফর্ম্যাট ও টেস্টে নিয়মিত হয়ে উঠতে না পারলেও পঞ্চাশ ওভারের খেলায় হয়ে উঠেছিলেন সর্বকালের সেরাদের একজন। পরিসংখ্যানের দিক থেকে টিম ইন্ডিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা ওপেনিং জুটি তিনি গড়েন রোহিত শর্মা’র সাথে। ২০২২-এর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সিরিজের পর বাদ পড়েন শিখর (Shikhar Dhawan)। এরপর বছরখানেক অপেক্ষা করলেও আর ডাক আসে নি ‘মেন ইন ব্লু’র। শেষমেশ ২০২৪-এ ৩৮ বছর বয়সে ভারতীয় দলকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শেষ হয় এক বর্ণময় অধ্যায়।
Read More: IND vs ENG T20i: বাদ পড়লেন রিঙ্কু-নীতিশ, ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের নয়া দল ঘোষণা BCCI-এর !!
টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ফের শিখর-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। আইপিএল থেকেও সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু বাইশ গজকে এখনও পুরোপুরি বিদায় জানাতে পারেন নি ‘গব্বর।’ গত বছরের লেজেন্ডস লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে গুজরাত গ্রেটস (Gujarat Greats) দলের হয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। দক্ষতায় যে মরচে ধরে নি তা প্রমাণ করেন সাদার্ন সুপারস্টারস দলের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩৭ বলে সম্পূর্ণ করেন অর্ধশতক। টিম ইন্ডিয়া (Team India) থেকে অবসরের পর অন্যান্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে আর কোনো বাধা নেই তাঁর। ভারত ছেড়ে নেপালে পাড়ি দেন শিখর (Shikhar Dhawan)। নেপাল প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধনী মরসুম করণালি ইয়াকস দলের হয়ে খেলেন তিনি। কাঠমান্ডু গুরখাসের বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ করেন, চিতওয়ান রাইনোসের বিরুদ্ধে করেন ৪৫।
লেজেন্ডস লীগ, নেপাল প্রিমিয়ার লীগের (NPL) পর শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan) পরবর্তী গন্তব্য ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস (WCL)। ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সের নীল জার্সি গায়ে মাঠে দেখা যাবে তাঁকে। কিংবদন্তিদের বিশ্বকাপে অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দল’ও। ভারতীয় কিংবদন্তিদের স্কোয়াড’কে গত মরসুমে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। দলে ছিলেন হরভজন সিং, রবিন উথাপ্পা, সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান’দের (Yusuf Pathan) মত ক্রিকেটদুনিয়ার পরিচিত মুখেরা। এবার ধাওয়ানের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে ধারে-ভারে অনেকখানি শক্তিশালী করে তুলবে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সকে (IC)। গতবার ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিলো ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স দল। এবারও সেই খেতাব ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবেন কিংবদন্তিরা।
WCL-এ পা রাখলেন ধাওয়ান-
WCL is thrilled to welcome @SDhawan25 to the India Champions team !
.
.
.
.
.
.#wcl #wcl2025 #worldchampionshipoflegends #shikhardhawan #india #cricketnews #CricketFever pic.twitter.com/nTLq36I4pC— World Championship Of Legends (@WclLeague) January 25, 2025
শিখর ধাওয়ানের কেরিয়ার পরিসংখ্যান-
জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। ৪০.৬১ গড়ে সংগ্রহে ২৩১৫ রান। শতরানের সংখ্যা ৭, অর্ধশতক ৫টি। অভিষেক টেস্টে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের নজির রয়েছে তাঁর। ৬৮টি টি-২০ ম্যাচে ২৭.৯২ গড়ে তিনি করেছেন ১৭৫৯ রান। অর্ধশতক ১১টি। ওডিআই’তে তাঁর পারফর্ম্যান্স চমকপ্রদ। বারো বছরের কেরিয়ারে ১৬৭টি ম্যাচ খেলে ৪৪.১১ গড়ে শিখর (Shikhar Dhawan) করেছেন ৬৭৯৩ রান। শতরানের সংখ্যা ১৭। অর্ধশতক ২৯টি। পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংখ্যক শতকের মালিক তিনি। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পেয়েছিলেন সেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার। ২০১৫ সালের ওডিআই বিশ্বকাপেও টিম ইন্ডিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন শিখরই। আইপিএলে ২২২ ম্যাচে ৩৫.২৫ গড়ে ৬৭৬৯ রান রয়েছে শিখরের। শতরান ২টি, অর্ধশতকের সংখ্যা ৫১।