২০২৩-এর ওডিআই বিশ্বকাপের (ICC World Cup) ফাইনালের পর দেশের জার্সিতে একটি ম্যাচও খেলেন নি মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। চিকিৎসকের পরামর্শে উড়ে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর গোড়ালিতে। গত বছরের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই রিহ্যাব চলেছে বাংলার তারকা পেসারের। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (NCA) চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। খেলতে পারেন নি টি-২০ বিশ্বকাপ, আইপিএলের মত প্রতিযোগিতাতেও। টিম ইন্ডিয়ার মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকার তাঁর প্রত্যাবর্তনের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বরের ডেডলাইন স্থির করে দিয়েছিলেন। আশা ছিলো যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বল হাতে দেখা যাবে শামি’কে (Mohammed Shami)। কিন্তু পূরণ হয় নি সেই প্রত্যাশা। মাঠের বাইরেই থেকেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক আঙিনায় তাঁর প্রত্যাবর্তন আর কত দেরী? প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞমহলে।
Read More: ‘হারানো প্রাপ্তি’ নাইট রাইডার্সের, ফের একবার ফিল সল্ট খেলবেন বেগুনি-সোনালী জার্সিতে !!
শামি’কে নিয়ে বিস্ফোরক রবি শাস্ত্রী-
বাংলাদেশ সিরিজের ডেডলাইন ‘মিস’ করেছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও (IND vs NZ) দেখা যায় নি তাঁকে। এমনকি অস্ট্রেলিয়া সফরের স্কোয়াডেও ছিলেন না তিনি। অনেকে ভেবেছিলেন যে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (BGT) মাঝপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। কিন্তু ঘটে নি তেমনটাও। শামিকে ছাড়াই পাঁচটি টেস্টে মাঠে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। বাংলার পেস তারকার না থাকা ভারতীয় শিবিরের ১-৩ হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি শেষে আইসিসি রিভিউ’র একটি অনুষ্ঠানে সেই কথাই বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। যেভাবে শামি’র (Mohammed Shami) চোটের বিষয়টি সামলানো হচ্ছে, তাও সঠিক নয় বলেই মনে করেছেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য।
শাস্ত্রী বলেন, “(মহম্মদ) শামি’র উপস্থিতি অবশ্যই ফারাক গড়ে দিতে পারত (সিরিজের ফলাফলে)।” এরপর ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থাকে খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, “মহম্মদ শামি’র ঠিক কি হয়েছে? এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে যে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে সত্যি বলতে আমি খুবই বিভ্রান্ত। সেরে ওঠার ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে ও? আমি জানি না কতদিন ধরে ও এনসিএ (ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি)তে বসে রয়েছে। ওর শারীরিক অবস্থা ঠিক কি সেই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য কেন সামনে আসবে না? ওর মানের একজন খেলোয়াড়’কে আমি অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আসতাম। ওকে দলের সাথে রেখে আমি নিশ্চিত করতাম যাতে ওর রিহ্যাব সঠিক ভাবে হয়। তৃতীয় টেস্টের সময়ও যদি দেখতাম যে ওর পক্ষে মাঠে নামা সম্ভব হচ্ছে না, তখন না হয় ফেরত পাঠাতাম।”
ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন মহম্মদ শামি-
লম্বা বিরতির পর মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) সরাসরি আন্তর্জাতিক আঙিনাতে ফেরানোর ঝুঁকি নেয় নি বিসিসিআই। বরং ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তাঁকে ফিটনেসের প্রমাণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। সেইমত গত নভেম্বরে তিনি মাঠে নামেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। বাংলার হয়ে খেলেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও টানা নয়টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। হাঁটু ফুলে উঠেছিলো শামি’র (Mohammed Shami)। ফলে এরপর কিছুদিন মাঠের বাইরে যেতে হয়েছিলো তাঁকে। ফের এনসিএ-তে ফিটনেস পরীক্ষা হয় তাঁর। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর তারকা পেসার ফিরেছেন বাংলার হয়ে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে বিহার ও মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচও খেলেছেন। আশা করা হচ্ছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে থাকবেন তিনি। খেলবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও (CT 2025)।