ক্রিকেট প্রশাসনে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলেছেন জয় শাহ (Jay Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র প্রশাসক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন নিজের রাজ্য সংস্থা গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে। সেখানে সহ-সচিব পদে ছিলেন তিনি। মোতেরা স্টেডিয়াম’কে নবরূপে ১ লক্ষ ৩২ হাজার আসনবিশিষ্ট নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিলো তাঁর। এরপর ২০১৯ সালে রাজ্য সংস্থা থেকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-তে। সচিবের আসনে বসেন তিনি। জয় শাহের সাথেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। মেয়াদ ফুরানোর পর ২০২২-এ সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়তে হয় নি জয় শাহ’কে। ইতিহাসে প্রথম বিসিসিআই সচিব হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
গত কয়েক বছরে জয় শাহের (Jay Shah) কেরিয়ার গ্রাফ যে কেবল উপরের দিকেই উঠেছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে চলেছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৫। সংবাদপত্র ‘দ্য এজ’-এ প্রকাশিত রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে আগামী আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন জয় শাহ (Jay Shah)। এই মুহূর্তে মসনদে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে (Greg Barclay)। ২০২০ সালে প্রথম দফায় নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে তাঁকেই পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বার্কলে জানিয়েছেন যে তৃতীয় দফায় চেয়ারম্যান আর থাকতে চান না তিনি। নভেম্বরে তাঁর মেয়াদ শেষ হলে নতুন চেয়ারম্যান পদে দেখা যেতে পারে অমিত শাহ পুত্র’কে।
Read More: IPL 2025: KL রাহুলকে পেতে মরিয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স, ২৫ কোটি খরচেও রাজী বিরাটদের ফ্র্যাঞ্চাইজি !!
শেহবাগ হতে পারেন পরবর্তী সচিব-
জয় শাহ (Jay Shah) সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন নাকি তাঁকে ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ২৭ অগস্ট অবধি মনোনয়ন জমা করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই পরিষ্কার হবে ছবিটা। তবে ভোটাভুটি হলেও ভারতীয় প্রশাসকেরই বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার শীর্ষপদে বসার সম্ভাবনা। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে ইতিমধ্যেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বোর্ডের সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন তিনি। সমর্থনের আশ্বাস মিলেছেন অন্যান্য পূর্ণ সদস্য দেশের তরফ থেকেও। পূর্বে নিয়ম ছিলো যে মতদানকারীদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশের ভোট পেলে তবেই আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়া যাবে। বর্তমান নিয়ম অনুসারে ১৬ টি ভোটের মধ্যে ৫১ শতাংশ বা ৯টিই যথেষ্ট। ফলে সংখ্যার ‘অ্যাডভান্টেজ’ জয় শাহের (Jay Shah) পক্ষেই যাবে বলে ধারণা।
২০২৫ সাল অবধি বিসিসিআই সচিব পদে মেয়াদ রয়েছে জয় শাহের (Jay Shah)। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কুলিং পিরিয়ডে যাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু তার আগেই সরে দাঁড়াতে পারেন তিনি। বিসিসিআই ছেড়ে পাড়ি দিতে পারেন আইসিসি’তে। তাঁর বিদায়ের পর নতুন সচিব রূপে কে দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছে কৌতূহলী ক্রিকেট জনতা। প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি তৈরি করলেও খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটদুনিয়ার অভ্যন্তরে কোনো দিন পা রাখেন নি জয় শাহ (Jay Shah)। এই কারণে নানা সময় তাঁকে নানা কটাক্ষের সম্মুখীনও হতে হয়েছে। দলের পারফর্ম্যান্স খারাপ হলেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। আগামীতে তেমনটা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী সচিব হিসেবে কোনো প্রাক্তনীকে বেছে নেওয়া হতে পারে। বীরেন্দ্র শেহবাগের কাছে যেতে পারে প্রস্তাব।