TOP 3: আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম বাংলাদেশ (IND vs BAN) প্রথম টেস্ট ম্যাচ। চেন্নাইয়ের বাইশ গজে যে দেখা যাবে কে এল রাহুল’কে (KL Rahul) তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিসিসিআই-এর তরফ থেকে। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতেন সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan), কিন্তু আপাতত তাঁকে পিছিয়েই থাকতে হচ্ছে। তরুণ তুর্কি সরফরাজের থেকে অভিজ্ঞ তারকা’কে এগিয়ে রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। আগামী নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দিকে তাকিয়ে রাহুলকেই (KL Rahul) অধিক সুযোগ দিয়ে দেখে নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
সংবাদসংস্থা PTI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক বোর্ড কর্তা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “নিজের শেষ তিনটে টেস্টের মধ্যে কে এল দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা শতরান করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে যা অন্যতম সেরা একটা টেস্ট ইনিংস। চোট পাওয়ার আগে হায়দ্রাবাদে শেষ যে টেস্টটা খেলেছিলো, সেখানেও ৮৬ রান করেছিল। ওকে বাদ দেওয়া হয়, বরং ও আহত হয়েছিলো। এখন ও ফিট ও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। মাঠে ফিরে ও দলীপ ট্রফির ম্যাচে অর্ধশতক’ও করেছে। ম্যাচ টাইম পেয়েছে। (বাংলাদেশের) বিরুদ্ধে রাহুল’ই সুযোগ পাবে” এতদ্সত্ত্বেও ক্রিকেটজনতার একাংশের মত রাহুল নয়, সরফরাজেই (Sarfaraz Khan) আস্থা রাখা উচিৎ টিম ইন্ডিয়ার।
Read More: হবু স্বামীর সাথে মুম্বাই ফিরলো হার্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী, সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও !!
সরফরাজের ধারাবাহিকতা দুর্দান্ত-
কে এল রাহুলের (KL Rahul) থেকে সরফরাজকে এগিয়ে রাখতে পারত তাঁর ধারাবাহিকতা। রাহুলের প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও মনে। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে বরাবরই অক্ষম হয়েছেন তিনি। ওঠানামা করেছে ফর্মের গ্রাফ। পক্ষান্তরে ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনায় অন্যতম বড় নাম সরফরাজ (Sarfaraz Khan)। মুম্বইয়ের জার্সি গায়ে রঞ্জি ট্রফিতে টানা চার বছর ১০০’র বেশী গড় বজায় রাখার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। করেছেন ত্রিশতক’ও। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে স্বল্প সময়ের জন্য সুযোগ পেয়েছেন তিনি, জাত চেনাতে ভুল করেন নি। ইংল্যান্ডের মত দলের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে তিন ম্যাচে এসেছে ২০০ রান। ইতিমধ্যেই ৩টি অর্ধশতক’ও করে ফেলেছেন। ভালো খেলার পরও তাঁকে যদি টেস্ট ম্যাচ থেকে ছেঁটে ফেলা হয়, তাহলে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা-
চেন্নাই ও কানপুরের মাঠে রয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট দুটি। যেহেতু উপমহাদেশের মাটিতে খেলা সেক্ষেত্রে বাইশ গজ স্পিন সহায়ক হওয়ারই সম্ভাবনা বেশী। ঘূর্ণি পিচে তাইজুল ইসলাম, শাকিব আল হাসান, মেহদী হাসান মিরাজরা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন তা আন্দাজ করতে পারছে ক্রিকেটমহল। স্পিনের বিরুদ্ধে দক্ষতার কথা বিচার করেও বিশেষজ্ঞদের অনেকের ধারণা পাঁচ নম্বরে রাহুল নয়, যোগ্যতম হতে পারতেন সরফরাজ খান’ই (Sarfaraz Khan)। কেরিয়ারের অধিকাংশ সময় ওয়াংখেড়ের ধুলো ওড়া পিচে ব্যাটিং করেছেন সরফরাজ। স্পিনের খুঁটিনাটি তিনি যে ভালোই জানেন তা ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনায় তাঁর রানের বহর দেখেই বোঝা যায়। অন্য দিকে নাথান লিয়ঁ’র মত স্পিনারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নড়বড়ে দেখিয়েছে রাহুলকে (KL Rahul)। ফলে তাঁকে খেলানো হিতে বিপরীত হতেই পারে।
তারুণ্যে আস্থা রাখুন গম্ভীর, চান বিশেষজ্ঞরা-
এখন থেকেই আগামীর কথা ভাবতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে, মনে করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। রাহুলের (KL Rahul) বয়স এই মুহূর্তে ৩২। সরফরাজের ২৬। ঘরের মাঠের চেনা পরিবেশে তরুণ তুর্কিদের খেলার সুযোগ করে দিয়ে তাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে সড়গড় করে তোলার সুযোগ যেন হাতছাড়া না করা হয়, উঠছে দাবী। নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মত কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় নামানো হোক রাহুলের মত ৫০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা ক্রিকেটারকে। বদলে চেন্নাই ও কানপুরে উপমহাদেশীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সরফরাজকে (Sarfaraz Khan) আরও খানিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেওয়া হোক, চাইছেন অনেকে। একা সরফরাজ নয়, ঘরের মাঠে আগামী সিরিজগুলোতে মুশির খান, অভিমণ্যু ঈশ্বরণ, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়দের মত নতুন মুখদেরও পরখ করে দেখা হোক, উঠছে দাবী। এতে তারকাদের ওয়ার্কলোড যেমন ম্যানেজ হবে, তেমনই নতুনদের তৈরিও রাখা যাবে বড় মঞ্চের জন্য।