ক্রিকেটদুনিয়ায় ঝড় তুলেছে অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা। ২০০৫ ও ২০০৭ সালে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিলো। মুখোমুখি হয়েছিলো এশিয়া ও আফ্রিকা একাদশ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা’র মত ক্রিকেটীয় দেশগুলির সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া হয়েছিলো এশিয়া দল। পক্ষান্তরে আফ্রিকা একাদশের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন দক্ষণ আফ্রিকা, কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রা। ধোনি, যুবরাজ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সাথে সেই সময় সাজঘর ভাগাভাগি করে নিতে দেখা গিয়েছিলো পড়শি দেশের ইনজামাম উল হক, মহম্মদ আসিফদের মাঠে নামতে। আগামী ডিসেম্বর থেকে আইসিসি’র চেয়ারম্যান পদে বসছেন জয় শাহ (Jay Shah)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ’কে পুনরায় চালু করতে উৎসাহী তিনি। ভারত-পাক তারকাদের ফের দেখা যেতে পারে একইসাথে, একই দলে। সেই সম্ভাবনাই মুখে হাসি ফুটিয়েছে ক্রিকেট অনুরাগীদের।
Read More: IND vs BAN: ঘুম উড়ছে বাংলাদেশের, টিম ইন্ডিয়াতে এন্ট্রি নিচ্ছেন টাইগারদের ‘যম’ !!
সাকলাইন মুস্তাক বাছলেন পছন্দের একাদশ-
অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপের (Afro-Asia Cup) প্রত্যাবর্তনের ঘোষণার আগেই ভারত-পাক সম্মিলিত সর্বকালের সেরা টি-২০ একাদশ বেছে নিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাকলাইন মুস্তাক (Saqlain Mushtaq)। দলে মোট ৬ জন ভারতীয় ও ৫ জন পাকিস্তানী খেলোয়াড়কে জায়গা দিয়েছেন কিংবদন্তি স্পিনার। শুরুতেই রেখেছেন রোহিত শর্মা’কে (Rohit Sharma)। ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে তাঁর পছন্দ বাবর আজম (Babar Azam)। তিন নম্বরে থাকছেন টিম ইন্ডিয়ার নক্ষত্র বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। টি-২০ ইতিহাসের তিন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক’কে দেখা যাবে মুস্তাকের পছন্দের ব্যাটিং লাইন আপের প্রথম তিনে। এরপর থাকছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। টি-২০ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন নি তিনি।
পাঁচ ও ছয়ে দুই উইকেটরক্ষক’কে রেখেছেন সাকলাইন। পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ানের (Muhammad Rizwan) সাথে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। মহেন্দ্র সিং ধোনি’র (MS Dhoni) মত কিংবদন্তি তারকাকে কোন যুক্তিতে বাদ দেওয়া হয়? জবাবদিহি চেয়েছে ক্রিকেটজনতা। অলরাউন্ডার হিসেবে সাকলাইনের পছন্দ শাদাব খান (Shadab Khan)। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে শাদাবের অন্তর্ভুক্তিও। যুবরাজ সিং, হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) মত তারকা রয়েছেন ওয়াঘা সীমান্তের পূর্ব দিকে। এমনকি পাকিস্তানের জার্সিতেও দীর্ঘসময় মাঠ মাতিয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi) বা শোয়েব মালিক। শাদাব তাঁদের থেকে কি করে এগিয়ে থাকেন? জানতে চেয়েছেন অনেকে।
এখনও পাকিস্তানের পেস শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী মুস্তাক-
স্পোর্টসকীড়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত-পাক যে সম্মিলিত সেরা টি-২০ একাদশ বেছে নিয়েছেন সাইকলাইন মুস্তাক (Saqlain Mushtaq), সেখানে জায়গা পেয়েছেন চার বিশেষজ্ঞ বোলার। তার মধ্যে রয়েছেন তিন পেসার ও একজন স্পিনার। ঘূর্ণি বোলিং-এর ভার মুস্তাক সঁপেছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) কাঁধে। পেস বিভাগে ভারতের জসপ্রীত বুমরাহ’র (Jasprit Bumrah) সাথে রেখেছেন দুই পাকিস্তানী’কে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও সাকলাইনের মতে সেরাদের তালিকায় থাকা উচিৎ শাহীন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Shah Afridi) ও নাসিম শাহের (Naseem Shah)। সহমত হতে পারেন নি অধিকাংশ নেটজনতা। পাকিস্তান থেকেই যদি কাউকে সুযোগ দিতে হয় তাহলে শাহীন নয়, উমর গুল বা মহম্মদ আসিফের মত কারও জায়গা প্রাপ্য বলে উঠেছে গুঞ্জন।
এক নজরে দেখুন সম্মিলিত সেই একাদশ-
রোহিত শর্মা, বাবর আজম, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, মহম্মদ রিজওয়ান, ঋষভ পন্থ, শাদাব খান, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, জস্প্রীত বুমরাহ।