ভারতে বসেছে বিশ্বকাপের আসর। দেশের দশ শহরে একদিনের ক্রিকেটে শ্রেষ্টত্ব অর্জনের লড়াইতে দেখা যাচ্ছে দশ আন্তর্জাতিক দলকে। রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) প্রশিক্ষণাধীন ভারতীয় দল দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করেছে বিশ্বকাপে। আপাতত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে তারা। বাইশ গজের মহাযজ্ঞের জন্য দেশে থমকে নেই ঘরোয়া ক্রিকেটও। চলছে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। চলছে ভিনু মাঁকড় ট্রফির মত বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাও। এই বছরের ভিনু মাঁকড় ট্রফি নিয়ে বাড়িত আগ্রহ রয়েছে ক্রিকেটজনতার। কিংবদন্তি ব্যাটার রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) পুত্র শমিত দ্রাবিড় (Samit Dravid) খেলছেন কর্ণাটকের হয়ে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে বছর ১৮’র শমিত যে পারফর্ম্যান্স দেখালেন তাতে বলা যেতে পারে যে বাবার দেখানো পথেই হাঁটছেন তিনি। কেবল ব্যাটিং নয়, বল হাতেও দুর্দান্ত দেখালো শমিত’কে।
Read More: World Cup 2023: “এমনটা তো হওয়ারই ছিলো…” আফগানদের বিরুদ্ধে হারের পর পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ বীরেন্দ্র শেহবাগের !!
অনবদ্য পারফর্ম্যান্স শমিত দ্রাবিড়ের-
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এর মধ্যেই নাম করেছেন শমিত দ্রাবিড় (Samit Dravid)। বিখ্যাত পিতার পরিচয়ে নয়, বরং নিজের প্রতিভার জোড়েই জায়গা করে নিয়েছেন কর্ণাটক দলে। ভিনু মাঁকড় ট্রফিতে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিলেন তিনি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) পুত্রের ব্যাট থেকে এলো ৯৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। শমিত (Samit Dravid) ১০ টি চারে সাজান ইনিংসটি। ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এবং ক্রিকেটীয় প্রতিভার ঝলক দেখা গেলো তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে। কর্ণাটকের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাঁরই। শতক হারালেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়লেন তিনি। বল হাতেও অনবদ্য পারফর্ম্যান্স তাঁর। ৫৯ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। দলের সেরা ব্যাটারের পাশাপাশি সেরা বোলিং পরিসংখ্যান’ও রাহুল দ্রাবিড়ের সুযোগ্য পুত্রেরই।
কর্ণাটকের বিরুদ্ধে জিতলো মুম্বই-
শমিত দ্রাবিড়ের (Samit Dravid) অনবদ্য পারফর্ম্যান্স সত্ত্বেও ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো মুম্বই’ই। প্রথমে ব্যাটিং করে মুম্বই দল তোলে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪৫ রান। তাদের হয়ে নূতন (Nutan) ৬২ বলে ১০৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৭টি চার এবং ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। অভিজ্ঞান কুণ্ডু (Abhigyan Kundu) করেন ৬৪। কর্ণাটকের মিডিয়াম পেসার শমিত দ্রাবিড় নেন ২ উইকেট। রান তাড়া করতে নেমে কর্ণাটক ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪৭.২ ওভারে ২৯৯ রানের মাথায়। পরাজয় ৪৬ রানের ব্যবধানে। শমিতের দাপুটে ৮৭ রানের পাশাপাশি কর্ণাটকের হয়ে সফল আরভ মহেশ’ও। তিনি ৪৮ রান করেন। মুম্বইয়ের সাফল্যের মূল কারিগর বাম হাতি স্পিনার মুশনির খান (Mushneer Khan)। ব্যাট হাত ৩৫ রান করার পাশাপাশি বোলিং-এ ৫৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন তিনি।