মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর ভারতীয় ক্রিকেটকে বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিতি দিয়েছেন আর আজো মানুষ শচীনকে ক্রিকেটের ভগবানের মতো পুজো করেন। তেন্ডুলকর ভারতের হয়ে অধিনায়কত্বও করেছিলেন, কিন্তু তিনি বেশি সময় পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাতে পারেননি আর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান চন্দু বোরডে খোলসা করেছেন যে শচীন তাকে নেতৃত্ব ছাড়ার সময় কী বলেছিলেন আর সৌরভ গাঙ্গুলীকে কীভাবে অধিনায়ক করা হয়।
তেন্ডুলকর ব্যাটিংয়ের উপর দিতে চান মনোযোগ
বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের ব্যাটিংকে প্রতিষ্ঠা করা শচীন তেন্ডুলকর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজহারউদ্দিনের পর শচীনকে টিম ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বেশি সময় পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেননি আর তারপর সৌরভ গাঙ্গুলীকে অধিনায়ক করা হয়। এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান চন্দু বোরদে স্পোর্টস ক্রীরার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খোলসা করেছেন যে শচীন স্বয়ং এসে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলেছিলেন। বোরদে বলেন,
“দেখুন, যদি আপনার মনে থাকে, তো শচীনকে আমরা একজন অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়েছিলাম আর তিনি সেখানে দলকে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু যখন তিনি ফিরে আসেন তো তিনি নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চাননি। সেই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন যে আমি নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ একত্রিত করতে চাই”।
সৌরভ গাঙ্গুলীকে করা হয় অধিনায়ক
শচীন তেন্ডুলকর ১৯৮৯তে ভারতীয় দলে ডেবিউ করেন। আর ১৯৯৬ থেকে ২০০ পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দেন। এর মধ্যে শচীন ৭৩টি ওয়ানডে আর ২৫টি টেস্ট ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরিসংখ্যান দেখা গেলে শচীন অধিনায়ক হিসেবে সফল হননি আর ২০০০ হওয়া ম্যাচ ফিক্সিং কান্ডের পর তো শচীন নেতৃত্ব ছাড়ার মুহূর্তই ঠিক করে ফেলেন। এখন বোর্ডে আরো বলেন যে,
“আমি শচীনকেই অধিনায়ক করে রাখতে চেয়েছিলাম, আমরা ভবিষ্যতের দিকে দেখছিলাম, কিন্তু তারপর শচীনের বারবার মানা করায় নির্বাচকরা গাঙ্গুলীকে নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত করে। এই কারণে আমি ওকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দলের নেতৃত্ব করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছি কারণ আমরা একজন নতুন অধিনায়ক একটি নতুন প্রজন্মের সন্ধানে ছিলাম”।
সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে বদলে যায় দলের চেহারা
ভারতীয় ক্রিকেট দল ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মামলায় দারুণভাবে ফেঁসে যায়। বিশ্ব জুড়ে যখন দলের সমালোচনা হচ্ছিল সেই সময় সৌরভ গাঙ্গুলীকে দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। তারপর তো গাঙ্গুলী না শুধু দলকে আবারো দাঁড় করান বরং টিম ইন্ডিয়াকে সমস্ত ম্যাচ উইনার খেলোয়াড় তৈরি করে দেন। যারা আগে খেতাব জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে ভারত ১৪৬টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ৭৬য়ি ম্যাচ জেতে আর ৬৫টি হারে। অন্যদিকে টেস্টে গাঙ্গুলী ৪৯টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন যেখানে ২১টি ম্যাচ জেতেন আর ১৩টি হারেন আর ২৫টি ম্যাচ ড্র হয়।