অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যাট হাতে রানের মুখ দেখেন নি শুভমান গিল (Shubman Gill)। তরুণ তুর্কি পার্থ-এ প্রথম টেস্ট ম্যাচটি খেলেন নি আঙুলে চোট লাগার কারণে। মাঠে ফেরেন অ্যাডিলেডে। ব্রিসবেনেও তাঁকে প্রথম এগারোতে রেখেই ছক সাজিয়েছিলো ভারত। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারেন নি তিনি। মেলবোর্নে টিম কম্বিনেশনের কারণে তাঁর জায়গা হয় রিজার্ভ বেঞ্চে। এরপর সিডনিতে শেষ ম্যাচটিতে ফের দলে ফেরানো হয়েছিলো শুভমানকে (Shubman Gill)। ‘মাস্ট উইন’ লড়াইতেও ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ’কে কোনো রকম ভরসা যোগাতে ব্যর্থ তিনি। ব্যাগি গ্রিনদের বিরুদ্ধে পাঁচ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ৯৩। গড় ১৮.৩৬। এই হতশ্রী পারফর্ম্যান্সের পর আন্তর্জাতিক আঙিনায় বেশ নড়বড়ে শুভমানের অবস্থান। দ্রুত ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে, ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরে ফেরত পাঠানো হবে তাঁকে, শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন।
Read More: “ওর দ্বারা হবে না…” মহম্মদ কাইফের নিশানায় গম্ভীর, ব্যর্থতার দায় কোচের কাঁধেই চাপালেন প্রাক্তনী !!
বাদ পড়তে পারেন শুভমান গিল-
বিদেশের মাঠে শুভমানের (Shubman Gill) ব্যর্থতা নতুন নয়। চেতেশ্বর পূজারার বদলে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে জায়গা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু পূজারার পারফর্ম্যান্সের ধারেকাছেও পৌঁছতে এখনও অবধি পারেন নি তিনি। ইংল্যান্ডে তাঁর ব্যাটিং গড় ১৪.৬৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২২.৫০, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৮.৫০। চার বছর উপমহাদেশের বাইরে কোনো অর্ধশতক অবধি করেন নি টেস্ট ক্রিকেটে। এরপরেও শুভমানকে (Shubman Gill) বয়ে বেড়ানোর প্রয়োজনীয়তা কি? উঠছে প্রশ্ন। দিনকয়েক আগেই নিজের ইউটিউব ভিডিওতে পাঞ্জাবের ক্রিকেটারকে রীতিমত তুলোধোনা করেছেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত (Krishnamachari Sikkanth)। শুভমানকে ‘ওভাররেটেড’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
ক্রিকেটমহলের ক্ষোভ বাড়ছে শুভমান গিলের (Shubman Gill) উপর। টেস্ট ক্রিকেটে যে পরিমাণ সুযোগ তাঁর প্রাপ্য ছিলো তার চেয়ে অনেক বেশী সুযোগ পাঞ্জাবের তরুণকে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও আগামী দিনে যে বড়সড় পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে তাঁকে, তা বেশ স্পষ্ট। ২০২৩-এর ওডিআই বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেন নি। গত বছরের শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ম্রিয়মান লেগেছে শুভমানকে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) তাঁর জন্য হতে পারে অগ্নিপরীক্ষা। যদি রান পান তাহলে অক্সিজেন পাবে শুভমানের (Shubman Gill) সাদা বলের কেরিয়ার। না হলে টেস্টের মতই ওডিআই ও টি-২০তেও তাঁকে ঠাণ্ডা ঘরে পাঠানোর দাবীতে সরব হবে ক্রিকেটজনতা।
জায়গা পেতে পারেন ঋতুরাজ-
শুভমান গিলের (Shubman Gill) বদলে ‘মেন ইন ব্লু’র অন্দরমহলে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে কার? একাধিক বিকল্পের সন্ধান বিসিসিআই-কে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে পরিসংখ্যানের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন নিঃসন্দেহে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলের মত টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করার পরেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুতেই নিয়মিত হয়ে উঠতে পারছেন না মহারাষ্ট্রের ক্রিকেটার। শ্রীকান্তের মত প্রাক্তনীও মুখ খুলেছেন ঋতুরাজের (Ruturaj Gaikwad) সমর্থনে। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে যখন ডাক পান নি মহারাষ্ট্রের তরুণ, তখন সাফ জানিয়েছিলেন, “সীমিত ওভারের দুই ফর্ম্যাটেই খেলা উচিৎ ওর।” দিনকয়েক আগেও বলেছেন, “ঋতুরাজ গায়কোয়াড় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। কিন্তু ওরা (নির্বাচকেরা) ওকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেই না। শুভমানের ব্যর্থতা তাঁর সামনে খুলে দিতে পারে নয়া দিগন্ত।