জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়াতে সুযোগ পেয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। হারারেতে টি-২০ সিরিজে একটি ৭৭ ইনিংস খেলেছিলেন। চমৎকার ৪৯ রানের একটি ইনিংস’ও এসেছিলো তাঁর ব্যাট থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আচমকাই সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মহারাষ্ট্রের ক্রিকেটারকে দেখা যায় নি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওডিআই বা টি-২০ স্কোয়াডে। লঙ্কা সফরের দলে ঋতুরাজকে না দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তনী কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনেই স্পষ্টই বলেন যে ‘সীমিত ওভারের দুই ফর্ম্যাটেই ঋতুরাজকে স্থায়ী জায়গা দেওয়া প্রয়োজন।” বিশ্বজয়ীর সার্টিফিকেট পেলেও নির্বাচকদের রেডারে জায়গা করে নিতে পারেন নি তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সদ্য যে টি-২০ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানেও নাম নেই ঋতুরাজের (Ruturaj Gaikwad)।
Read More: বাংলাদেশকে হারিয়ে WTC ফাইনালের পথে ভারত, লর্ডসের দৌড়ে ‘ডার্ক হর্স’ এখন শ্রীলঙ্কা !!
ঋতুরাজকে লাল বলের ক্রিকেটে ভাবছে বোর্ড-
বারবার ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছিলেন অনুরাগীরা। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে মহারাষ্ট্রের তারকাকে দূরে রাখার পিছনে বিসিসিআই-এর যুক্তি অবশেষে এলো প্রকাশ্যে। সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে দাবী করা হয়েছে যে এই মুহূর্তে সাদা বলের খেলোয়াড় নয়, বরং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (Ruturaj Gaikwad) লাল বলের ফর্ম্যাটেই ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে দেখছেন নির্বাচকেরা। অস্ট্রেলিয়াতে আগামী নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস অবধি পাঁচ টেস্টের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি খেলবে ভারত। ওপেনার হিসেবে আপাতত কোচ গম্ভীরের প্রথম পছন্দ রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তাঁদের সাথে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ঋতুরাজকেও।
অজি চ্যালেঞ্জের জন্য ঋতুরাজ (Ruturaj Gaikwad) যাতে প্রস্তুত থাকেন তা নিশ্চিত করতে তাঁকে লাল বলের ক্রিকেটেই অধিক মনোনিবেশ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। গত মাসে দলীপ ট্রফিতে (Duleep Trophy) ভারত-সি দলের নেতৃত্বভার সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো তাঁকে। একইসাথে চলতি ইরানী কাপেও অবশিষ্ট ভারত দলের অধিনায়কত্ব করছেন তিনি। দলীপ ট্রফিতে দুটি অর্ধশতক করেছিলেন ঋতুরাজ (Ruturaj Gaikwad), দুই ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিলো ৪৬ ও ৪৪ রান। ডান হাতি ব্যাটারের ফর্ম নিয়ে খুশি বিসিসিআই। তা অব্যাহত রাখার নিয়ত অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে জায়গা পেয়েছিলেন ঋতুরাজ। কিন্তু সরে দাঁড়িয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে। অস্ট্রেলিয়া সফরেই প্রথমবারের জন্য টেস্ট দলের অংশ হতে পারেন তিনি।
ওপেনিং-এ নেই শুভমান, জায়গা হচ্ছে না অভিমণ্যু’র-
ওপেনার হিসেবেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো শুভমান গিলের। কিন্তু যশস্বী জয়সওয়ালের উত্থানে নিজের পুরনো ব্যাটিং পজিশন খুইয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিন নম্বরে ব্যাট করছেন পাঞ্জাবের তরুণ তুর্কি। ঋতুরাজকে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর একটা বিষয় দিনের আলোর মত পরিষ্কার, যে শুভমানকে কোনো মূল্যেই ওপেনিং-এ ভাবছেন না কোচ গৌতম গম্ভীর। গত কয়েক বছর জাতীয় টেস্ট দলের ওপেনার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বাংলার অভিমণ্যু ঈশ্বরণ’ও। তিনি ৪৮.৪৪ গড়ে ৯৭ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে করেছেন ৭৩১৫ রান। সদ্যসমাপ্ত দলীপ ট্রফিতেও ২টি শতরান করেছেন। কিন্তু আপাতত যা খবর তাতে ঋতুরাজকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অভিমণ্যু’কে থাকতে হচ্ছে অন্ধকারেই।