অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে সফল প্রমাণ করলেন হিটম্যান রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। বিগত তিন বছর ধরে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত শর্মা। তার নেতৃত্বে ভারতীয় দলকে প্রচুর সাফল্য অর্জন করতে দেখা গিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সফলতা বজায় রাখলেও আইসিসির মঞ্চে শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি থাকার পরেও রোহিত শর্মার কপালে শিরোপা জোটেন।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেতাব জিতলো টিম ইন্ডিয়া
প্রসঙ্গত ২০২২ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফরম্যাটে ভারতীয় দলকে আইসিসির কোন ইভেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হতে হয় ভারতীয় দলকে। প্রথম আইসিসি ইভেন্টে প্রথম ব্যর্থতা মেনে নিতে হয় রোহিতকে। এরপর ২০২৩ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরাস্ত হতে হয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। অধিনায়ক হিসেবে এই দুই শিরোপা জয়ের প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও ভাগ্যের নিরিখে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে রোহিতকে (Rohit Sharma)।
Read More: “ও পাকিস্তান এ এলে…”, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগেই বিরাটকে সতর্ক করলেন শহীদ আফ্রিদি !!
তবে কথায় আছে ভালো মানুষের সঙ্গে সব সময় ভালো জিনিসটাই হয়ে থাকে, ঠিক এমনটাই ঘটলো রোহিত শর্মার সাথে। শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই বিশ্বকাপ খেতাব জয় করেই শেষ করলেন নিজের ক্যারিয়ার। বিশ্বকাপ খেলার আগেই রোহিত পরিবারকে জানিয়ে এসেছিলেন শেষবারের মতন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে চলেছেন তিনি আর নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে কিস্তিমাত করলেন রোহিত শর্মা। টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফরমেন্স দেখান তিনি এবং তিনি ভারতের জার্সিতে সর্বাধিক রানটিও বানিয়েছিলেন।
অধিনায়ক হতে রাজি ছিলেন না রোহিত
পাশাপশি, দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি খেতাব জয় করলেন তিনি। তবে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হতে রাজি ছিলেন না রোহিত শর্মা। তবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) জন্যই বাধ্য হয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হতে হয়েছিল রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma)। এ বিষয়ে মন্তব্য করে সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, “বিরাট কোহলি যখন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। তখন দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সবথেকে ভালো ও যোগ্য ব্যক্তিটি ছিলেন রোহিত শর্মা। আইপিএলে ৫টি শিরোপা জয় করেছেন তিনি, তার অভিজ্ঞতার কোন কমতি নেই। তবে যখন আমি তাকে অধিনায়ক হতে বলেছিলাম তখন তিনি কিন্তু কিন্তু করছিলেন। তবে আমি তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেই হয় তুমি অধিনায়কত্ব গ্রহণ করো কিংবা আমি তোমার নামটি ঘোষণা করে দেব। তখনই রোহিত অধিনায়কত্ব করতে রাজি হয়।”