ঘরোয়া ক্রিকেটের বড়ো তারকা রজত ভাটিয়া ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন। গত ২০ বছর ধরে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা রজত ভাটিয়া ভালো প্রদর্শন সত্ত্বেও কখনও টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সুযোগ পাননি, কিন্তু তিনি নিজের দুর্দান্ত অলরাউন্ডার প্রদর্শনে সকলের মনোযোগ নিজের দিকে আকর্ষিত করে ঘরোয়া ক্রিকেটে বড়ো নাম করেছেন।
রজত ভাটিয়া নিলেন অবসর
দিল্লিতে জন্মানো অলরাউন্ডার রজত ভাটিয়া নিজের ঘরোয়া ক্রিকেটের সফর তামিলনাড়ুর হয়ে শুরু করেছিলেন। শুরু দুটি মরশুম পর্যন্ত তামিলনাড়ুর হয়ে খেলার পর তার ঘরের দল দিল্লি তাকে নির্বাচিত করে। যারপর ২০১৫ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত দিল্লির হয়ে খেলেন। এরপর রজত ভাটিয়া রাজস্থান আর উত্তরাখন্ডের দলের হয়ে খেলেন। রজত ভাটিয়ার নাম সেই খেলোয়াড়দের তালিকায় গুনতি করা হয়, যারা ঘরোয়া স্তরে ভালো প্রদর্শন করার পর কখনও জাতীয় দলে ডেবিউ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু তিনিও হার মানেননি আর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নাম করেন। এখন করোনার সময়ের মধ্যে ভাটিয়া নিজের ক্রিকেট কেরিয়রকে বিদায় জানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দুর্দান্ত থেকেছে রজত ভাটিয়ার ঘরোয়া পরিসংখ্যান
৪০ বছর বয়সে নিজের কেরিয়ারকে বিদায় জানানো রজত ভাটিয়া মোট ১১২টি রঞ্জি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি ৮১টি ম্যাচ দিল্লির হয়ে খেলেন। নিজের রঞ্জি কেরিয়ারে রজত ৬৪৮২ রান করেছেন আর ১৩৭টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে নিজের ঘরের দল দিল্লির হয়ে তিনি ৪৬৬৬ রান করেছেন আর ৯৬টি উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়াও লিস্ট এ-তে তিনি ১১৯টি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি ৩০৩৮ রান আর ৯৩টি উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে রজত ১৪৬টি ঘরোয়া টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন আর ১২৫১ রান আর ১১১টি উইকেট নিয়েছেন। পরিসংখ্যা দেখে আপনারা এই খেলোয়াড়ের সক্ষমতার আন্দাজ করতে পারেন। জানিয়ে দিই যে রজত ভাটিয়া আইপিএলের চারটি ফ্রেঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যাল আর রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলেছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হতে এখনো লাগবে সময়
করোনা ভাইরস ক্রিকেটকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। তবে এখন ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হচ্ছে, কিন্তু এখনো ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেটের শুরু হওয়ার সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। আসলে ভারতে করোনার সংক্রমণ আগুনের মতো ছড়াচ্ছে আর এই অবস্থায় ঘরোয়া ক্রিকেটের মাঠে ফেরা কোনো অংশে বিপদের চেয়ে কম কিছু নয়। সৌরভ গাঙ্গুলীও নিজের একটি বয়ানে এই কথা স্বীকার করেছিলেন যে যতক্ষণ না করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়, ততক্ষণ ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করা মুশকিল, কারণ এখানে ৩৮টি দলকে একসঙ্গে সামলানো সম্ভব হবে না।