ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত পাঞ্জাব। টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার ফলে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছে যে আম আদমি পার্টি সরকার এই পরিস্থিতির জন্য পাঞ্জাবকে ‘বিপর্যস্ত রাজ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবার এই মহা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংস। এবারের আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস হয়েছিল রানার্স আপ। প্রধান কোচ রিকি পন্টিং (Ricky Ponting) এবং শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) ক্যাপ্টেনসির দৌলতে এবারের পাঞ্জাব দলটির প্রদর্শন ছিল অসাধারণ।
আইপিএল জয়ের কাছাকাছি ছিল পাঞ্জাব

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে পাঞ্জাব কিংসকে এমনকি মেগা ফাইনালেও পাঞ্জাবের নাকের ডগা থেকেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ২০১৪ সালের পর দীর্ঘ ১১ বছর পরে প্লে-অফের মঞ্চে পৌঁছেছিল। আইপিএলে অসাধারণ প্রদর্শনের করে ভক্তদের মন জেতার পর এবার পাঞ্জাবের ভুক্তভোগী মানুষদের পাশে দাঁড়ালো পাঞ্জাব কিংস কতৃপক্ষ। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি শুধু সহানুভূতি প্রকাশেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে ৩৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
Read More: অবসর ভাঙলেন কিংবদন্তি তারকা, বিশ্বকাপ দলে নেবেন এন্ট্রি !!
পাশাপাশি কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে মিলে দুর্গতদের কাছে পানীয় জল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের মূল ভরসা ‘টুগেদার ফর পাঞ্জাব’ প্রকল্প, যার অধীনে চলছে উদ্ধার ও চিকিৎসার কাজ। রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৩.৫ লক্ষের বেশি মানুষ। শুরুর দিকে ১২টি জেলায় বন্যার প্রকোপ দেখা গেলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩টি জেলায়।
কঠিন পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ালেন প্রীতি জিন্টারা

প্রায় চার দশকের মধ্যে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আর দেখেনি পাঞ্জাব। এমন কঠিন সময়ে পাঞ্জাব কিংস এগিয়ে এসেছে হেমকুন্ত ফাউন্ডেশন ও রাউন্ড টেবিল ইন্ডিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ ত্রাণ অভিযান চালানো হবে। সংগৃহীত অর্থ ‘দ্য গ্লোবাল শিখ চ্যারিটি’র মাধ্যমে বন্যার্তদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। পাঞ্জাবের মানুষ যখন ঘরবাড়ি হারিয়ে অসহায়, তখনই প্রীতি জিন্টার এই ফ্রাঞ্চাইজিটির উদ্যোগে নিঃসন্দেহে এক বড় মানবিকতার বার্তা দিচ্ছে।