জয় শাহ (Jay Shah) আইসিসির সভাপতি পদে বসার পর অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপের (Afro-Asia Cup) পুনরুজ্জীবন নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আবার রোমাঞ্চমর করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। আফ্রিকার বিরুদ্ধে এশিয়ার সেরা খেলোয়াড়দেরকে দেখা যেতে পারে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই দুই মহাদেশের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট আর অনুষ্ঠিত হতে দেখা যেতে পারে। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপের ম্যাচে খেলা হয়েছে।
১৭ বছর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই কাপ
এশিয়া এবং আফ্রিকার সেরা খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছিল সেই সময়ে। ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni), রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid), সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly) থেকে শুরু করে পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi), শোয়েব আখতারের (Shoaib Akhtar) মতো ক্রিকেটাররা একই দলের হয়ে খেলেছিলেন। আবার একবার ভারত ও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের একসাথে খেলার এসেছে সুযোগ।
প্রকাশ্যে আসলো অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপের (Afro-Asia Cup) মধ্যে ঘোষিত হলো এশিয়ার স্কোয়াড। এশিয়া দলের হয়ে সুযোগ পেয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা। এই পাঁচ দেশের খেলোয়াড়দের নিয়েই গঠিত হয়েছে ১১ জনের এশিয়া দল। আর এই দলকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। অধিনায়ক রোহিত শর্মা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তার নেতৃত্বে ভারতীয় দল ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে শিরোপা জয় করেছে। যে কারণে চলতি সময়ে এশিয়ার সেরা অধিনায়ক হিসাবে তাকেই গণ্য করা হচ্ছে।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বে মুখোমুখি হবে দুই দল
তাছাড়া ওপেনিং করতে দেখা যাবে ভারতীয় ক্রিকেটের তরুণ প্রতিভা শুভমান গিলকে (Shubman Gill)। তিন নাম্বারে ব্যাটিং করতে আসবেন কিংবদন্তি বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। শুধু এশিয়া একাদশেই নয় বিশ্ব ক্রিকেটের তিন নম্বর পর্যায়ে ব্যাটিং করার যোগ্য খেলোয়াড় হলেন বিরাট। তাছাড়া মিডিল অডারের দায়িত্বে থাকছেন পাকিস্তানি দুই খেলোয়াড়। চলতি সময়ে পাকিস্তানের বাবর আজম (Babar Azam) এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান (Muhammad Rizwan) পাকিস্তান দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। আর এই পরিস্থিতিতে এশিয়া দলে তারা মিডিল ওর্ডারে দায়িত্ব সামলাবেন।
তাছাড়া দলের অলরাউন্ডারদের মধ্যে সামিল করা হয়েছে বাংলাদেশী কিংবদন্তি শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) নাম। একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসাবে দলে তাকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দেখা যাবে হার্দিক পান্ডিয়াকে (Hardik Pandya) যিনি সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। দলের স্পিন তারকাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং আফগানিস্তানের রশিদ খানকে দেখতে পাওয়া যাবে। তাছাড়া দলের দুই পেসার হিসেবে দেখতে পাওয়া যাবে শাহীন আফ্রিদি ও জসপ্রিত বুমরাহকে।
এশিয়া একাদশে সুযোগ পেলেন এই কিংবদন্তিরা
রোহিত শর্মা (C), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (WK), শাকিব আল হাসান, হার্দিক পান্ডিয়া, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, রশিদ খান, শাহীন আফ্রিদি, জসপ্রীত বুমরাহ।