করোনা সংক্রমণ যেন এক বিভীষিকার আকার ধারণ করে চলেছে গোটা বিশ্বের কাছে। এই মারণ ভাইরাসের কবলে প্রতিনিয়ত লক্ষ্য লক্ষ্য লোক আক্রান্ত হচ্ছেন ঠিক তেমনি হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সারা বিশ্বের মানুষ এখন এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য একজোট হয়ে লড়ছে, সারা বিশ্বে প্রতিষেধক দেবার কাজ নিয়মিত চলছে। কোরোনার কবলে যেমন সাধারণ মানুষ জর্জরিত তেমনি খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ভি আই পিরাও এর কবলে বলি হয়েছে।
আইপিএল ২০২১ এই বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্টিত হওয়াতে অনেক দর্শক খুব খুশি হয়েছিলেন ঠিক তেমনি খুশি হয়েছিল ভারতীয় খেলোয়াড়রা কারণ তারা আবার দেশের মাটিতে নিজেদের চেনা মাঠের পরিবেশে নিজেদের খেলাটা পরিবেশন করতে পারবে। এইবছর আইপিএল শুরু হওয়া নিয়ে অনেক জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু তখন ভারতে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি অনেকটাই কম ছিল তাই ভারতীয় ক্রিকের বোর্ড এবং আইপিএল কমিটির যুগ্ম প্রচেষ্টাতে সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন এবং জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে বেশ সুস্থ ভাবে আইপিএল শুরু হয়েছিল। আইপিএল শুরুর দিকে সামান্য কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বেশ নির্ভিগ্নেয় চলছিল ১৪তম আইপিএল।
দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঠিক যখন আইপিএল এর মাঝামাঝি সময় হলো, ২০২১ আইপিএল এর ৩০তম ম্যাচটি হবার কথা ছিল কে কে আর বনাম আর সি বি এই দুই দলের মধ্যে ঠিক তার আগেই জানা যায় কে কে আর দল এর দুই গুর্রুতপূর্ণ সদ্দস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যার ফলে আইপিএল কমিটি ম্যাচটিকে স্তগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তারপর আবার খবর আসে চেন্নাই সুপার কিংস এর বোলিং কোচ সহ আরো কিছু সদ্দস্য করোনা সংক্রামিত , এর পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং আইপিএল কমিটি একটু গুর্রুতপূর্ণ বৈঠকে বসে তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারত এ করোনা সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে থাকায় এই বছরের আইপিএল অভিযান এই অবধি স্তগিত রাখা হলো। এরপর সমস্ত দলগুলি তাদের খেলোয়াড় এবং বাকি সাপোর্ট স্ট্রাফ দেড় নিরাপদ এ নিজেদের গন্তব্যে ফেরানোর দায়িত্ব নেয়।
এর কিছুদিন পর ভারতীয় বোর্ড ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং তারপর ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ এর জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করে। আইপিএল এর মঞ্চে অভিষেক হওয়া বেশ কিছু ক্রিকেটের সুযোগ পায়, তারপরেই জানা যায় টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা করোনা আক্রান্ত এবং তাকে আলাদা ভাবে প্রয্যবেক্ষন করা হচ্ছে যতক্ষণ না সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিটনেস টেস্ট পাস না করতে পারছে ততক্ষন সে ভারতীয় দল এর সাথে যোগদান করতে পারবে না। এরপর সব থেকে যে খবর আসে সেটা হলো কে কে আর এর তরুণ পেসার এবং ভারতীয় দলের উদীয়মান তারকা প্রসিদ কৃষ্ণা করোনা সংক্রামিত তাকে ভারতীয় দল একজন সাপোর্ট পেসার হিসাবে ইংল্যান্ড উড়িয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছিল।
সবশেষে এখন এটাই দেখার যে ঠিক আর কতজন খেলোয়াড় করোনা সংক্রমিত আছেন কিনা কারণ ভারতীয় দল খুব তাড়াতাড়ি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর ফাইনাল এবং ইংল্যান্ড এর সাথে টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য বিদেশের মাটিতে উড়ে যাবে। আমরা ভারতীয় সমর্থক হিসাবে এটাই আসা রাখবো যে আর যেন কোনো খেলোয়াড়ের করোনা সংক্রমিত র খবর আমার পাই।