আঠারো বছরের অপেক্ষা শেষে গত মঙ্গলবার আইপিএল (IPL) ট্রফি ঘরে তুলেছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। সাফল্য নিজেদের সমর্থকদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ফ্র্যাঞ্চাইজি। ঠিক ছিলো বুধবার বিকেল পাঁচটার সময় বিধান সৌধ থেকে শোভাযাত্রা যাবে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। সেখানেই হবে ট্রফি উদ্যাপন। কিন্তু বিজয়োৎসবের পরিণতি যে এহেন মর্মান্তিক হবে তা সম্ভবত দুঃস্বপ্নেও ভাবেন নি কেউ। ৩৫০০০ দর্শকধারণে সক্ষম চিন্নাস্বামীতে প্রবেশের জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ আরসিবি (RCB) সমর্থক। যার ফলে ভেঙে পড়ে যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনেকেই গেট টপকে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। তারপরেই দেখা যায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন। আহত হন ৬৪ জন ক্রিকেটপ্রেমী।
Read More: শোকের ছায়া ভারতীয় ক্রিকেটে, বাইশ গজকে বিদায় জানালেন KKR কিংবদন্তি !!
অনুষ্ঠানটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিলো ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা। বুধবারের ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে কাবন পার্ক থানায় দায়ের হয় এফআইআর। অভিযোগপত্রে জুড়ে দেওয়া হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) ফ্র্যাঞ্চাইজি ও কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (KSCA) নাম’ও। কাবন পার্ক থানা ও সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ (সিসিবি)’র যৌথ তদন্তকারী দল নামে অনুসন্ধানে। আজ সকালে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরসিবি (RCB) মার্কেটিং হেড নিখিল সোসালেকে (Nikhil Sosale)। মুম্বই উড়ে যাওয়্র আগে পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। এছাড়া সুমন্ত, কিরণ ও সুনীল ম্যাথিউ নামে ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্টের তিন কর্মীকেও ইতিমধ্যে আটক করেছে যৌথ তদন্তকারী দল। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।
কেবল নিখিল সোসালে বা সুনীল ম্যাথিউ নন, পুলিশের রেডারে রয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ মেনন (Rajesh Menon), ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্টের ডায়রেক্টর ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার কে টি মজিদ, কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব এ শঙ্কর (A Shankar) ও কোষাধ্যক্ষ জয়রাম’ও (Jayaram)। জানা গিয়েছে যে রাজেশ মেনন’কে গ্রেপ্তার করতে আজ বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগর অঞ্চলে হানা দিয়েছিলো পুলিশবাহিনী। কিন্তু তাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। একই গাড়িতে চেপে পালান শঙ্কর ও জয়রাম’ও। তাঁরা ধরা পড়েন নি ঠিকই তবে তাঁদের বাসভবনে অনুসন্ধান চালিয়েছেন যৌথবাহিনীর প্রতিনিধিরা। আজ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)’র হাতে আজ তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হতে পারে বলেও খবর মিলেছে সূত্র মারগত।