বিবাহ এমন একটি শব্দ যা প্রত্যেক মানুষের জীবনে সারা জীবন তার জীবন সঙ্গীর সাথে কাটানো বোঝায় তা সে কোনো ক্রিকেটার হোক বা কোনো সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ইতিহাসে বহু নামিদামি ক্রিকেট খেলোয়াড়দের বিবাহের সাক্ষী আমরা থেকেছি। ক্রিকেট খেলোয়াড়দের বিবাহ সাধারণত আমরা দেখে থাকি হয় তাদের কোনো ছোটবেলাকার বন্ধু অথবা কোনো নামকরা সেলেব্রেটি অথবা তাদের নিজেদের কোনো আত্মীয়। এছাড়াও আমরা এমন ইতিহাসে সাক্ষী থেকেছি যেখানে একজন ক্রিকেটার অপরজন ক্রিকেটারের বিবাহিত স্ত্রী কেও বিবাহ করেছেন যা নিয়ে ক্রিকেট ইতিহাস কলংকিত হয়েছে।
আমরা এখানে আলোচনা করবো এমন ৩জন ক্রিকেটারের সমন্ধে যারা নিজেদের আত্বিয়কে বিবাহ করেছেন।
শাহিদ আফ্রিদি
প্রাক্তন পাকিস্তানী অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি তার অনবদ্য অলরাউন্ড পারফর্মেন্স এর জন্য সারা দুনিয়া বিখ্যাত ছিলেন। তিনি তার ডানহাতি ঝোড়ো ব্যাটিং এর সাথে সাথে ডানহাতি লেগ স্পিন দিয়ে সারা গুনিয়া মোহমীত করে রেখেছিলেন। তার ক্রিকেট ক্যরিয়ার এ অনেক সমালোচনা আসা সত্ত্বেও তিনি তার খেলা চালিয়ে গেছেন। আফ্রিদি তার ২০বছর বয়েসে নিজের খুড়তুতো বোন নাদিয়া কে বিবাহ করেন , তাদের এই ২১ বছর বিবাহিত জীবনে তারা ৫টি কন্যা সন্তানের মাতা পিতা। একটি খবর সূত্রে জানা গেছে তিনি ঘোষণা করেছেন তার একটি কন্যা সন্তান আকসা বৰ্তমান পাকিস্তানী খেলোয়াড় শাহীন আফ্রিদির সাথে পাকাপাকি সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছে।
সাঈদ আনোয়ার
প্রাক্তন পাকিস্তানী ওপেনার ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ার যিনি পাকিস্তানের হয়ে একদিবসীয় ক্রিকেটে অনেক রান করেছেন, ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট এর পর তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। একদিবসীয় ক্রিকেট ইতিহাসে তার করা ১৯৫রান ততদিন অব্দি অক্ষুন্ন ছিল যতদিন না এটার রেকর্ড কেউ ভাঙতে পেরেছিলেন। আনোয়ার তার নিজের খুড়তুতো বোন লুবনা কে ১৯৯৬ সালে বিবাহ করেন, লুবনা অৰ্থাৎ আনোয়ার এর স্ত্রী পেশায় একজন ডাক্তার। তাদের ২৫বছরের বিবাহিত জীবনে একটি মাত্র কন্যা সন্তান ছিল কিন্তু ২০০১ সালে সে কঠিন এক অসুখে মারা যায়।
মুস্তাফিজুর রহমান
বাংলাদেশী পেস বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব প্রদানকারী মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি তার অফ কাটার এবং স্লোয়ার বোলিংয়ের জন্য সারা দুনিয়া বিখ্যাত, সারা দুনিয়াতে ফিজ নামে বিখ্যাত। আইপিএল জগৎ থেকে উত্থান বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলারের যিনি তার আইপিএল ক্যরিয়ার এ অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। বাঁহাতি এই পেস বলার তার নিজের খুড়তুতো বোন সামিয়া পারভীন কে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর বিবাহ করেন এবং সেখানে অনেক বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা উপস্থিত ছিলেন। মুস্তাফিজুর জানিয়েছেন ২০২১ এর স্তগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল এর বাকি ম্যাচ যেটি দুবাই তে খেলা হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং আইপিএল কমিটি থেকে জানানো হয়েছে সেই দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনি হায়দ্রাবাদ দলের হয়ে অংশগ্রহন করতে পারবেন না। যার ফলে হায়দ্রাবাদ দলের বর্তন যা অবস্থা তাতে করে তারা আরো খারাপ দল গঠনের দিকে এগিয়ে গেলো।
সব শেষে আমরা এটাই বলতে পারি ক্রিকেট ইতিহাসের অতীতে যেমন এই রকম বিবাহের সাক্ষী গোটা ক্রিকেট বিশ্ব থেকে ঠিক তেমন ভাবেই সুদূর ভবিষ্যতেও এই রকম বহু বিবাহের সাক্ষী গোটা ক্রিকেট বিশ্ব থাকবে।