ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে চলা তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অ্যাম্পায়ারিং আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে। যদিও এটা প্রথমবার নয় যখন অ্যাম্পায়ারদের দ্বারা কোনো বিতর্কমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এটাও প্রথমবার নয় যখন খারাপ অ্যাম্পায়ারিংয়ের কারণে ভারতীয় দলের লোকসান হয়েছে। আজকের অ্যাম্পায়ারিং প্রাক্তন অ্যাম্পায়ার স্টিভ বাকনারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে তিনি আউট না হওয়া ব্যাটসম্যানকে আউত দিয়েছিলেন। তার খারাপ অ্যাম্পায়ারিংয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার শচীন তেন্ডুলকর হয়েছিল। বর্তমান টেস্টে এই ঘটনা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫তম ওভারে ঘটেছে।
বেইমানিতে নেমেছেন ইংরেজরা
আহমেদাবাদে খেলা হওয়া টেট ম্যাচে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫তম ওভারে বল করছিলেন অক্ষর প্যাটেল। ওভারের চতুর্থ বলে ফিল্ড অ্যাম্পায়ার অনিল চৌধুরী জো রুটকে এলবিডব্লিউ দেন। এরপর সামান্য ভাবনার পর আর নন স্ট্রাইকার এনের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বলার পর জো রুট ডিআরএস নিয়েছেন। এরপর টিভি অ্যাম্পায়ার শামসউদ্দিন তাকে নটআউট দেন। তার মোতাবেক বল প্যাডের আগে ব্যাটে লেগেছিল। কিন্তু ফিল্ড অ্যাম্পায়ারের সঙ্গে বাকি সকলের মনে হয়েছে বল শুধুমাত্র প্যাডেই লেগেছে।
জো রুট কেনো বুঝতে পারলেন যে বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে লেগেছিল
এমনকী কমেন্টেটর সুনীল গাভাস্কার বলেন যে বল যদি প্রথমে ব্যাটে লেগে থাকত তো জো রুট দেরী না করে আগেই ডিআরএস নিয়ে ফেলতেন। বরং রুট উল্টে সতীর্থের সঙ্গে পরামর্শ করেন আর পরে ডিআরএস নেন। তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে না শুধু ভারতীয় খেলোয়ড়দের বরং তারকা খেলোয়ড়দের পাশাপাশি দর্শকদেরও যথেষ্ট নিরাশ করেছে।এর বিরুদ্ধে সকলের মনে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যা প্রথম কারণ রুটের দ্রুত ডিআরএস না নেওয়া। কারণ ব্যাটসম্যানরা জেনেই যান যে বল ব্যাটে লেগেছে কি না।