২০১৪ সালে আইপিএলের (IPL) ফাইনাল খেলেছিলো পাঞ্জাব (PBKS) ফ্র্যাঞ্চাইজি। মনীশ পাণ্ডের এক অনবদ্য ইনিংসে সেবার ট্রফি ছিনিয়ে নিয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর একটানা দশ বছর কোনো সাফল্য ছিলো না তাদের। একবারও প্লে-অফের যোগ্যতা অবধি অর্জন করতে পারে নি প্রীতি জিন্টার দল। শেষমেশ ছবিটা বদলায় ২০২৫-এ এসে। শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। লীগ পর্বে শীর্ষে থেকে পৌঁছয় প্লে-অফে। পৌঁছয় ফাইনালেও। তবে শেষ বাধাটুকু এবারও অতিক্রম আর করা হলো না পাঞ্জাবের। গতকাল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করেও তারা হারলো ৬ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় বারেও তীরে এসে তরী ডোবায় স্বভাবতই হতাশ পাঞ্জাব। তবে ব্যর্থতার অন্ধকার থেকেই সাফল্যের আলোর সন্ধানে তারা।
Read More: IPL 2025: ধাক্কা খেলো RCB-র ট্রফি সেলিব্রেশন, শেষ মুহূর্তে বাতিল হলো পরিকল্পনা !!
পরের মরসুমের ভাবনা শুরু শ্রেয়সের-

গত বছর নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল (IPL) জিতেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। এবার পাঞ্জাবের হয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জেতার সুযোগ ছিলো তাঁর সামনে। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করে উঠতে পারলেন না তিনি। ফাইনালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নিজে ব্যাট হাতে সফল হন নি। সাফল্য পায় নি তাঁর দলও। খেতাব খোয়ানোর হতাশা থাকলেও ভেঙে পড়তে রাজী নন তিনি। বরং এই মরসুম থেকে ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে নিয়ে তা পরের বছরও কাজে লাগাতে চান পাঞ্জাব (PBKS) অধিনায়ক। খেলা শেষে তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয়েছিলো যে ২০০ এখানে সাধারণ স্কোর। কিন্তু ওরা দারুণ বোলিং করেছে। বিশেষ করে ক্রুণাল (পাণ্ডিয়া)। ওর অভিজ্ঞতা প্রচুর। আমি দলের প্রত্যেককে নিয়ে গর্বিত। কাজ শুধু অর্ধেকটাই শেষ হয়েছে। আগামী বছর ফিরে এসে আমাদের ট্রফি জিততেই হবে।”
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মিনি নিলামের আসর বসার সম্ভাবনা। এর মধ্যেই পরবর্তী মরসুমের দলগঠন নিয়ে পাঞ্জাব টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে শ্রেয়সের (Shreyas Iyer) একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। মিনি নিলামে অকশন পার্স’কে পুষ্ট করতে এবারের স্কোয়াড থেকে বেশ কয়েকজন তারকাকে ছেঁটে ফেলার পথে হাঁটতে পারেন শ্রেয়সরা। আতসকাঁচের নীচে রয়েছে যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal), আর্শদীপ সিং-এর মত নাম। ১৮ কোটি টাকা দিয়ে চাহালকে সই করিয়েছিলো পাঞ্জাব। আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেন নি হরিয়ানার লেগস্পিনার। ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন কেবল ১৬টি উইকেট। এর মধ্যে ৮ উইকেট এসেছে দুই ম্যাচে। বাকি ১২টি খেলায় তাঁর ঝুলিতে কেবল ৮টি সাফল্য। আর্শদীপের ইকোনমি চিন্তায় রেখেছে পাঞ্জাবকে। বাদের তালিকায় থাকার সম্ভাবনা ম্যাক্সওয়েলেরও।
ঘুরে দাঁড়াবে দল, আশাবাদী পন্টিং-

২০২০ সালে দিল্লী ক্যাপিটালসের (DC) অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার আর কোচের আসনে ছিলেন রিকি পন্টিং (Ricky Ponting)। সেবার আইপিএল (IPL) ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হেরেছিলেন তাঁরা। পাঁচ বছর পর পাঞ্জাব কিংসের হয়েও সাফল্য পেলো না শ্রেয়স-পন্টিং জুটি। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হারের পর আক্ষেপ অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তির গলায়। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “মাত্র দুই দিন আগে আমরা এই মরসুমে আমাদের অন্যতম সেরা জয় উদ্যাপন করছিলাম। আর আজ মনে হচ্ছে যেন নিজেদের দোষেই সাফল্য হাতছাড়া হলো। কিন্তু এই তরুণ দলের সাথে আমরা আগামী মরসুমে অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়াবো।” গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পাঞ্জাব ক্রিকেটাররা যে ভয়ডরহীন ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে তারও প্রশংসা করেছেন পন্টিং।