এ যেন সত্যিকারের ভ্রান্তিবিলাস! সম্প্রতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পাটিদার (Rajat Patidar) যে ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তাকে এক কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলতেই হয় তেমনটাই। ঘটনার নেপথ্যে রিলায়েন্স জিও কোম্পানির একটি সিম কার্ড। ৯০ দিন অব্যবহৃত থাকার পর নিয়ম অনুযায়ী রজতের (Rajat Patidar) সিমটা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিলো। পরে তা কেনেন মনীশ নামের এক যুবক। সিমটি চালু করতেই একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে তাঁর সাথে। হোয়্যাটস্যাপের ডিপিতে রজত পাটিদারের ছবি দেখে খানিক চমকেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশেষ গা করেন নি। কিন্তু এরপরই বদলায় পরিস্থিতি। একের পর এক ফোন আসতে থাকে ঐ নম্বরে। কেউ বলেন, “আমি বিরাট কোহলি বলছি।” আবার কেউ নিজের পরিচয় দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স হিসেবে। ক্রিকেটদুনিয়ার নক্ষত্ররা তাঁকে কেন ফোন করছেন? বুঝে পান নি ছত্তিশগড়ের ঐ যুবক।
Read More: বিসিসিআই-এর ‘প্রিয়পাত্র’ শুভমান গিল, এশিয়া কাপে পাচ্ছেন নতুন দায়িত্ব !!
মনীশকে শেষমেশ ফোন করেন পাটিদার (Rajat Patidar) স্বয়ং। তিনি জানান যে ঐ নম্বর তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটদুনিয়ার কোচ ও সতীর্থেরা তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে গিয়েই ফোন করে বসছেন মনীশকে। সিম’টি তাঁকে ফেরত দেওয়ারও অনুরোধ করেন রজত। কিন্তু আরসিবি অধিনায়কের ফোনও বিশ্বাস করতে পারেন নি মনীশ ও তাঁর বন্ধু ক্ষেমরাজ। পাল্টা মস্করা করে তাঁরা বলেন, “হ্যাঁ আমরা মহেন্দ্র সিং ধোনি বলছি।” সেই ঠাট্টা অবশ্য ভালো চোখে নেন নি ক্রিকেটতারকা। তিনি জানান যে এরপর বাধ্য হয়েই আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে তাঁকে। সেইমত দশ মিনিটের মধ্যেই মনীশের গ্রামের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশবাহিনী। এতদিন যে আসল কোহলি, ডি ভিলিয়ার্স বা পাটিদারদের (Rajat Patidar) সাথে ফোনে কথা বলেছেন তাঁরা, এতক্ষণে তা বোধগম্য হয় ঐ দুই যুবকের। তাঁরা আর সিম কার্ড ফেরত দিতে দেরী করেন নি।
গোটা বিষয়টি এখনও অবিশ্বাস্য ঠেকছে ছত্তিশগড়ের গড়িয়াবন্ধ গ্রামের দুই যুবকের কাছে। এনডিটিভি’কে ক্ষেমরাজ জানিয়েছেন, “রং নম্বরের জন্য আমি কোহলির সাথে কথা বলতে পারলাম। আমার জীবনের লক্ষ্যপূরণ হয়ে গিয়েছে।” গোটা বিষয়টি সামনে আসার পর তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে ক্রিকেটদুনিয়ায়। নেটমাধ্যমে মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। “ভাবুন একটা নতুন সিম কিনলেন আর তারপরেই বিরাট আর এবিডি’র ফোন আসতে লাগলো,” লিখেছেন এক নেটিজেন। “কি অদ্ভুত একটা ঘটনা! একটা সিম কিনে নাকি কোহলি আর ডি ভিলিয়ার্সের ফোন পাওয়া যাচ্ছে। তবে পাটিদারকে সিম’টা ফিরিয়ে ভালো কাজই করেছে ঐ যুবক,” মন্তব্য আরেকজনের। তবে উলটো দৃষ্টিভঙ্গিও রয়েছে। ‘সেলিব্রিটি হওয়ার ফায়দা নিচ্ছেন পাটিদার। ঐ যুবকের কি দোষ? উনি তো আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করেই সিমটি নিয়েছিলেন,’ উঠেছে প্রশ্ন।
চিনে নিন সেই যুবক’কে-
A guy from Chhattisgarh purchased a new sim which turned out to be Rajat Patidar’s old number.
– He received calls from Virat Kohli and AB De Villiers, but after Patidar informed the Police, the man returned the sim. pic.twitter.com/Hqrl2fcek5
— Mufaddal Vohra (@mufaddal_vohra) August 10, 2025