খুব অল্প বয়েসে ক্রিকেট শুরু করেও আর্ন্তজাতিক স্তরে সেই ভাবে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল। ১৫ বছর আগে টিন-এজার অবস্থায় টেস্টে অভিষেক হয়েছিল পার্থিবের। পরে অবশ্য অধিকাংশ সময়ই অনেককিছুই তার পক্ষে যায়নি। একটি সংবাদ মাধ্যমে পার্থিব বলেন, “কম বয়সে সাধারনত কেউই কোনও বিষয় নিয়ে বিশেষ চিন্তা করেনা। যখন আমার বয়স ছিল ১৭, আমিও সেরকমই ছিলাম। তখন দেশের হয়ে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলাম, আর এই ব্যাপারটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তখন সেটাও বোঝার মত ক্ষমতা আমার ছিল না। এটা শুধু বুঝতে পারছিলাম, আমার এখন সময় ভালো চলছে।”
এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারে ২৩টি টেস্ট, ৩৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ২টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন পার্থিব। ধারাবাহিকতার অভাব এবং রাঁচির তরুণ তুর্কী মহেন্দ্র সিং ধোনির উত্থানে জাতীয় দলের বাইরে চলে যান পার্থীব। তবে বর্তমান অবস্থাতেই হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। পার্থিব বলছেন, “আমার লক্ষ্য নিজের খেলার আরও উন্নতি করা। যাতে নিজের টিমকে ম্যাচ জিততে বা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করে।”
ইতিমধ্যেই ঋদ্ধিমান সাহা, দীনেশ কার্তিক, ঋষভ পন্থরা দারুনভাবে উঠে এসেছেন। তাতে অবশ্য খুব একটা বিচলিত নন পার্থিব। তিনি বলছেন, “ভারতের মত দেশে যখন আপনি খেলছেন, যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৭-২৮ জন রয়েছেন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে, সেখানে আপনাকে সেরাটা বের করে আনতেই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকলে খেলার মানেরও উন্নতি হতে বাধ্য।”
জাতীয় দলের ফেরার আশা তিনি কিন্তু এখনও ছাড়েননি সেটা জানিয়ে পার্থীব বলেন, “উইকেটরক্ষকের টেকনিকে আমি তেমন কোনও পরিবর্তন করিনি। হ্যাঁ, অনুশীলনে কিছু বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে ব্যাটিং এবং উইকেট কিপিং দুটিরই সমান গুরত্ব রয়েছে।”
আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, ব্যাটসম্যান হিসাবে পুনরুত্থান হয়েছে পার্থিবের। নিজেকে শুধু একজন দুর্দান্ত ওপেনারই নয়, দলের প্রয়োজনে পরে নেমেও সফল হচ্ছেন তিনি। “ব্যাটিংয়ে আমি কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে কিছু মুভমেন্টে। আর চেষ্টা করেছি, বড় রানকে শতরানে পরিনত করার। আমি যখন কিপিং করি, তখন নিজেকে স্পেশ্যালিস্ট উইকেটরক্ষকের মত দেখি। আর যখন ক্রিজে ব্যাট হাতে নামি তখন, স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসাবে দলকে সাহায্য করতে চাই।ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে দায়িত্ব পালন করতে বলবে, আমি সেটা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমার কেরিয়ারে অনেক ওঠা নামা হয়েছে। জাতীয় দলে ফের সুযোগ পেলে, তা কাজে লাগানোর জন্য পুরো তৈরি রয়েছি। আসন্ন বিশ্বকাপের দলে নিজেকে দেখার আশা করতেই পারি।”