৬,৬,৬,৬,৬.. পাকিস্তানি তারকার ব্যাটিং'এ ধ্বংস বোলিং আক্রমণ, ৩৯৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে নতুন রেকর্ড !! 1

পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে অসংখ্য কিংবদন্তি ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক মঞ্চে উঠে এসেছেন। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সফল এই দল বর্তমানে পারফর্মেন্সের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারের সম্মুখীন হয়ে ধাক্কা খেয়েছে তারা। এই বছর এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ফাইনালে পৌঁছেও ভারতীয় দলের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় প্রাক তারকা বাবর আজম‌ও (Babar Azam) ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে হতাশ করে আলোচনার বাইরে চলে গেছেন। বাদ পড়েছেন জাতীয় দল থেকেও। তবে এখানে এমন একজন পাকিস্তানের ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা করা হলো যিনি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন।

Read More: “গম্ভীর চায় না আমি থাকি..”, অস্ট্রেলিয়া সফরে জায়গা না পেয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মহম্মদ শামির !!

পাক তারকার ঐতিহাসিক ইনিংস-

৬,৬,৬,৬,৬.. পাকিস্তানি তারকার ব্যাটিং'এ ধ্বংস বোলিং আক্রমণ, ৩৯৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে নতুন রেকর্ড !! 2
Naved Latif Images: Getty Images

যেকোনো জাতীয় দলের উন্নতির ক্ষেত্রে সেই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তরুণ ক্রিকেটাররা একাধিক ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিজেদের তৈরি করে থাকেন। পাকিস্তানে কায়েদ-ই-আজম ট্রফি (Quaid-e-Azam) থেকেও একাধিক তারকা নিজেদের পরিচয় তৈরি করেছেন। ২০০০-০১ মরসুমে এই টুর্নামেন্টে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নতুন অধ্যায় রচনা করেছিলেন নাভেদ লতিফ (Naved Latif)। তিনি গুজরান‌ওয়ালার বিপক্ষে সারগোধার হয়ে এই ইনিংস খেলেন।

ম্যাচে গুজরান‌ওয়ালার করা ২৬১ রান তাড়া করতে নেমে নাভেদ মহম্মদ হাফেজের (Mohammad Hafeez) সঙ্গে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন। ম্যাচে ৫৯৫ বলে ৩৯৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৫ টি ছয় এবং ৫২ টি চার। উল্লেখ্য নাভেদ ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেইভাবে সুযোগ পাননি। দেশের হয়ে মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ এবং ১১ টি ওডিআই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এই তারকা।

পাকিস্তানের ধারাবাহিক ব্যর্থতা-

Asia Cup 2025
IND vs PAK | Image: Getty Images

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্তমানে পাকিস্তানের বিপর্যয় ভক্তদের রীতিমতো হতাশ করেছে। এই বছর এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব, সুপার ৪ এবং ফাইনাল মিলিয়ে তারা ৩ বার ভারতীয় দলের (India vs Pakistan Match) বিপক্ষে মাঠে নামে। একটিও ম্যাচে তারা সূর্যকুমার যাদবদের (Suryakumar Yadav) হারাতে পারেনি। তবে ফাইনালে সালমান আলী আঘাদের (Salman Ali Agha) চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল। ম্যাচে পাক বাহিনী প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ১৪৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল।

এই রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় টপ অর্ডার একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যায়। এই রকম সময়ে ব্যাট হাতে হাল ধরেন তিলক বর্মা। (Tilak Verma)। তিনি ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলে। এর ফলে ব্লু ব্রিগেডরা ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়েও পিসিবি (PCB) এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) প্রধান মহসিন নকভির (Mohsin Naqvi) থেকে সূর্যকুমার যাদবরা ট্রফি নেবে না বলে স্পষ্ট করে দেয়। যা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যহত রয়েছে।

Read Also: “গম্ভীরকে সরালেই সব ঠিক হয়ে যাবে..”, নভজ্যোত সিং সিধুর স্পষ্ট বার্তায় নড়েচড়ে বসল BCCI !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *