২০১৯ বিশ্বকাপের আগে, কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চাহালের জুটি বিরোধী দলগুলিতে সর্বনাশ করেছিল। বিশ্বকাপের আগে এই দুই ভারতীয় স্পিনারই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের মধ্যে ছিলেন। তবে বর্তমানে কুলদীপ যাদব পুরোপুরি ফর্মের বাইরে। একই সঙ্গে চাহালও টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নিয়মিত উইকেট নিতে পারছেন না। ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার অজিত আগরকারের মতে, টিম ইন্ডিয়ার জন্য উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। তিনি মনে করেন, কুলদীপকে যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হয়, তবে তাকে ফর্মে ফিরে আসতে হবে এবং তার হারানো আস্থা ফিরে পেতে হবে।
কুলদীপ যাদব প্রসঙ্গে, অজিত আগরকর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “মাঝে মাঝে আমি অনুভব করি যে তাকে (কুলদীপ) না খেলে কিছুটা অন্যায় হয়েছিল। তবে তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া এবং ভাল বোলিং শুরু করা দরকার। তিনি এবং চাহাল দুজনেই জানেন যে জায়গা নেওয়ার মতো অনেক খেলোয়াড় রয়েছে এবং প্রতিযোগিতা করে দল ভাল করে।” কুলদীপ সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ১৮ জুলাই থেকে শ্রীলঙ্কা ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। এর পরে ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। এর আগে এই সিরিজটি ১৩ জুলাই থেকে শুরু হবে। তবে শ্রীলঙ্কা শিবিরে করোনার মামলা প্রকাশিত হওয়ার পরে এটি এগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগরকর আরও বলেছিলেন, “স্পিন ভারতের জন্য কিছুটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত চাহাল এবং কুলদীপ একসাথে খেলা বন্ধ করার পরে, তবে রাহুল চাহার, বরুণ চক্রবর্তীর মতো খেলোয়াড় রয়েছে এবং তারা যদি ভাল করতে পারে তবে তা বিরাটকে আরও বিকল্প দেবে কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব বেশি দূরে নয়, সুতরাং খেলোয়াড়দের পক্ষে ইতিমধ্যে দলে থাকা খেলোয়াড়দের গড়ে তোলার এটি একটি ভাল সুযোগ। এই বিক্ষোভগুলি এড়ানো হবে না।” আগরকর মনে করেন যে সাদা খেলায় সিরিজটিতে নিয়মিত অভিনয় করা খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে পারেন। তিনি বলেছিলেন যে দুই বা তিনটি স্লটের জন্য সর্বদা লড়াই হয়। এজন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ধারাবাহিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।