পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির (Mohammad Amir) প্রায় সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকেন। সেটা মাঠের ভেতর হোক কিংবা মাঠের বাইরে। তবে এবার তিনি আলোচনায় রয়েছেন নিজের পরিবারের কারণে। আসলে, মোহাম্মদ আমিরের একটি ইউকে কার্ড রয়েছে। কারণ, তার স্ত্রী নার্গিস খান একজন ব্রিটিশ নাগরিক। মোহাম্মদ আমির ও নার্গিস খানের একটি ছেলেও রয়েছে।
মোহাম্মদ আমিরের প্রেম কাহিনী খুবই মজার
মোহাম্মদ আমির ও নার্গিস খানের প্রেম কাহিনী খুবই মজার। আসলে এটা সেই দিনের কথা যখন ২০১০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযোগ উঠেছিল মোহাম্মদ আমিরের নাম। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে জেলে যেতে হয়েছে মোহাম্মদ আমিরকে। আমিরের মামলা লড়ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নার্গিস খান। মামলা লড়তে গিয়ে নার্গিস খান ও মোহাম্মদ আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আমির। আমিরের বয়স তখন ১৮ বছর। মোহাম্মদ আমির ও নার্গিস খানের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে।
আইপিএল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মোহাম্মদ আমির
২০১৬ সালে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আমির (Mohammad Amir)। পাকিস্তান ক্রিকেটে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। মোহাম্মদ আমির ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে আইপিএল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর রয়েছে।
কি ছিল পুরো ব্যাপারটা?
আগস্ট ২০১০ সালে, লর্ডস ক্রিকেট টেস্টে, তিন ক্রিকেটার এবং বুকি মাজহার মজিদ স্পট ফিক্সিং করেছিলেন এবং এই স্টিং অপারেশনটি ‘নিউজ অফ ওয়ার্ল্ড’ রিপোর্টার দ্বারা করা হয়েছিল। এই গোটা ঘটনায় স্পট ফিক্সিংয়ের সব বিষয় ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ম্যাচের আগের দিন কখন প্রতিটি নো বল করা হবে। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা। এই টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক সালামান বাটের নির্দেশে মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির (Mohammad Amir) যথাক্রমে একটি ও দুটি নো বল করেন।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটেনে থাকার পরিকল্পনা ছিল
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরই মোহাম্মদ আমির (Mohammad Amir) ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আমির ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ নাগরিক নার্গিস খানকে বিয়ে করেন। আমির পাকিস্তান দলের সেই ছিলেন যারা ২০০৯ বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি কাপ এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি স্পট ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।