দুই বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের একটি দুর্দান্ত প্রতিভাবান ও তারকা খচিত দল ছিল যাদের প্রায় সমস্ত জায়গাই পূর্ণ ছিল। তবে গত বছরের ফলাফল দিক দিয়ে দেখলে সেই পূর্ণতা খুব কম ছিল কারণ তারা অসঙ্গতিগুলি ধরতে পারেনি। গত মরশুমে তাদের অবক্ষয়ের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত এসেছিল যখন টুর্নামেন্টের মাঝপথে অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের ঘোষণা করে দেয় খোদ কলকাতা নাইট রাইডার্স।
অধিনায়ক হিসাবে দীনেশ কার্তিক তেমন খারাপ কিছু না করলেও অধিনায়কত্ব থেকে দীনেশ কার্তিককে বহিষ্কার করে কলকাতা নাইট রাইডার্স ইয়ন মর্গ্যানকে নেতৃত্বের জন্য বেছে নিয়েছিল। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হিসাবে যথেষ্ট ভাল কাজ করার জন্য ইয়ন মর্গ্যানকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু, ফলাফলগুলি তাদের প্লে অফে নিয়ে যাওয়ার পর্যাপ্ত ছিল না।
তবে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ককে ২০২১ সালের আইপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে এবং ধারাবাহিকতা নিয়ে আশাবাদী। গত বছরের টুর্নামেন্টে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বড় সন্ধান হলেন মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, যিনি তার দুরন্ত অফ স্পিন বোলিংয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপ দিয়েছিলেন। তিনি একটি ম্যাচে পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি ৬.৮৫ ইকোনমি রেট রেখে ২০.৯৪ গড়ে ১৭টি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন।
আর এর ফলে এবারের আইপিএল এ বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড় কিনে নিজেদের বেশ কয়েকটি জায়গার অভাব পূর্ণ করতে মরিয়া ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর সেক্ষেত্রে বলা যায়, নিলামে বেশ ভালোই বাজার করে এসেছে নাইটরা। একাধিক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কেনার পাশাপাশি ব্যাকআপ এবং তরুণ খেলোয়াড়দের মিশেলও এনেছে নাইটরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএল ২০২১ নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স দ্বারা কিনে নেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা :
সাকিব আল হাসান – ৩.২ কোটি টাকা।
শেল্ডন জ্যাকসন – ২০ লক্ষ টাকা।
বৈভব অরোরা – ২০ লক্ষ টাকা।
করুণ নায়ার – ৫০ লক্ষ টাকা।
হরভজন সিং – দুই কোটি টাকা।
বেন কাটিং – ৭৫ লক্ষ টাকা।
ভেঙ্কটেশ আইয়ার – ২০ লক্ষ টাকা।
পবন নেগি – ৫০ লক্ষ টাকা।