চেন্নাইয়ের চেপকে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ২০০তম ম্যাচটি খেলতে নেমেছেন কে এল রাহুল (KL Rahul)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত শেষ যে টেস্ট সিরিজটি খেলেছিলো, সেখানে একটি ম্যাচের বেশী খেলতে পারেন নি তিনি। চোটের কারণে ছিটকে যেতে হয়েছিলো তাঁকে। ছয় মাস পর লাল বলের ক্রিকেটে দেশের হয়ে নেমেছেন তিনি। সিরিজ শুরুর আগে মিডল অর্ডারে রাহুল (KL Rahul) নাকি সরফরাজ, কে সুযোগ পাবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিলো। তবে এক সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক কর্মকর্তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে সরফরাজের (Sarfaraz Khan) তারুণ্য নয় বরং রাহুলের অভিজ্ঞতাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে আপাতত। সেই বক্তব্যে সমর্থন যুগিয়েছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট’ও। সেইমত মাঠে নেমেছেন রাহুল। তবে তাঁকে আদৌ দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
Read More: পন্থের শতরানে খুশি ধরে রাখতে পারলেন না প্রবীণা ভক্ত, ক্যামেরার সামনে করলেন এই কাজ !!
রাহুলের প্রতি সহানুভূতিশীল টিম ইন্ডিয়া ?
টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে চেন্নাইতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তখন ভারত অধিনায়কের বয়ানে সতীর্থ কে এল রাহুলের (KL Rahul) প্রতি সহানুভূতিই দেখা গিয়েছিলো। কর্ণাটকের ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “কে এল রাহুলের দক্ষতা কোন স্তরের, সে সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। ওর প্রতি আমাদের স্পষ্ট বার্তা যে আমরা চাই ও সব ম্যাচ খেলুক আর নিজের সেরাটা বের করে আনুক। ওর থেকে দল কি চায় তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। মাঠে ফেরার পর থেকে ও বেশ ভালো খেলেছে-দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শতরান করেছে। দুর্ভাগ্যবশত হায়দ্রাবাদে চোট পাওয়ার পর আর খেলে নি। টেস্ট ক্রিকেটে ওর সাফল্য না পাওয়ার কোনো কারণ আমি অন্তত দেখছি না। সুযোগ রয়েছে। ওকেই বুঝতে হবে কি করে কেরিয়ার’কে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
কথায় ও কাজে তফাত রোহিত-গম্ভীরের-
রোহিতের (Rohit Sharma) বক্তব্য আর তার বাস্তবায়নের মধ্যে অবশ্য ফারাক দেখা গিয়েছে অনেকটাই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (IND vs BAN) রাহুলকে (KL Rahul) মাঠে নামার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞমহল। প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে পারেন নি কর্ণাটোকের তারকা। ১৬ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিলো তাঁকে। দ্রুত রান’ও তুলছিলেন। লিড বাড়ছিলো টিম ইন্ডিয়ার (Team India)। অপরপ্রান্তে শতক পেরোনো শুভমান গিলকেও (Shubman Gill) লাগছিলো বেশ জমাট। প্রতিপক্ষ বোলিং-কে ব্যাকফুটেই রেখেছিলো শুভমান-রাহুল জুটি।
আচমকাই ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত নেন কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ক্রিজে তখন ১৯ বলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ করে অপরাজিত কে এল রাহুল। হাতে দুই দিনেরও বেশী সময় ছিলো ভারতের। এক্ষুণি ডিক্লেয়ার না করে রাহুলকে (KL Rahul) অর্ধশতক অথবা আরও বেশী রানের সুযোগ দিলে দলের ক্ষতি নয়, বরং লাভই হত বলে মনে করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে অনেকখানি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে পারতেন রাহুল (KL Rahul)। কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর থেকে সেরাটা বের করে আনতে হলে মাত্র ২০-২৫ বল নয়, লম্বা ইনিংস খেলতে দিতে হবে রাহুল’কে, বলছেন অনেকেই।