পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্তর্কলহ অব্যাহত। ২০২৩-এর এশিয়া কাপ (Asia Cup) ও ওডিআই বিশ্বকাপের (ICC World Cup) ফাইনালে পরাজয়ের পর সাজঘরে একতার অভাবের কথা সামনে এসেছিলো। এশিয়া কাপের সময় ড্রেসিংরুমে দুই সিনিয়র-বাবর আজম ও শাহীন শাহ আফ্রিদির (Shaheen Shah Afridi) মধ্যে তর্কাতর্কির খবরও সামনে এসেছিলো। সেই সময় কোনো রকমে বিতর্ক চাপা দেওয়া হয়। ওডিআই বিশ্বকাপের সময়েই তলানিতে ছিলো টিম স্পিরিট। অবস্থার যে বিশেষ বদল গত কয়েক মাসেও আসে নি তা ভালোই বোঝা গিয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup)। সুপার এইটের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারে নি পাকিস্তান। সদ্য দলের সাথে যোগ দেওয়া কোচ গ্যারি কার্স্টেনও এই নিয়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। পাকিস্তানের কোচিং করা যে সহজ হবে না তা ফের বুঝলেন তিনি।
Read More: CT 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যাচ্ছে ভারত, BCCI-এর জেদের ফল ভুগতে হচ্ছে দল’কে !!
গুরুতর অভিযোগ শাহীনের বিরুদ্ধে-
দিনকয়েক আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছে গ্যারি কার্স্টেনকে। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রাক্তনী। জিতেছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ। বেশ কয়েক বছর তিনি কাটিয়েছেন গুজরাত টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও। তাঁর পেশাদারিত্বের দিকে আঙুল তুলতে পারেন নি কেউই। বরং শচীন, শেহবাগ, হরভজনরা বরাবরই প্রশংসা করেছেন কার্স্টেনের। আদর্শ কোচ হিসেবে তুলে ধরেছেন তাঁকে। দলের সকলকে নিয়ে যিনি একসাথে এগিয়ে চলতে চান। কিন্তু পাকিস্তান সাজঘরে কার্স্টেনের মত কোচকেও কিনা পড়তে হচ্ছে ঘোর সমস্যার মুখে। তেমন তথ্যই সামনে এনেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
কাঠগড়ায় শাহীন শাহ আফ্রিদি। বাম হাতি পেসারের সাথে নাকি মতের অমিল হচ্ছে হেড কোচ গ্যারি কার্স্টেনের। এছাড়াও কোচিং স্টাফের সদস্য আজহার মাহমুদের সাথেও নাকি তর্কাতর্কি চালিয়েছেন প্রাক্তন টি-২০ অধিনায়ক। পিসিবির অভ্যন্তরের এক সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছে যে, “সাম্প্রতিক সফরগুলিতে শাহীন কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের সাথে লাগাতার খারাপ ব্যবহার করেছেন। তবুও ম্যানেজারদের তরফে তারকা পেসারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি।” এই খবর সামনে আসার পর পাক বোর্ড নাকি তদন্তে শুরু করেছে বিভিন্ন সফরে দলের সঙ্গে থাকা ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে। কেন গোটা ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলো তার জন্য জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে তাঁদের থেকে।
নির্বাচকদের সরিয়ে দিলো PCB-
কেবল সাজঘরে নয়, ডামাডোল পিসিবির’র অন্দরেও। গতকালই নির্বাচকমণ্ডলীতে বড়সড় রদবদল ঘটানোর পথে হেঁটেছেন মহসীন নকভিরা। সাত সদস্যের কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ ও আবদুল রাজ্জাককে। রিয়াজ একসময় পাক দলের মুখ্য নির্বাচকের পদ পেয়েছিলেন, কিন্তু পরে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে সাধারণ সদস্যের পদে নামিয়ে আনা হয়। অন্যদিকে রাজ্জাক পুরুষ ও মহিলা দুই দলেরই নির্বাচক রূপে কাজ করছিলেন। সাম্প্রতিক টি-২০ বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফর্ম্যান্সের দায় তাঁদের কাঁধে চাপিয়ে বিদায় জানানো হলো তাঁকে। এর আগে নির্বাচক পদ থেকে সরতে হয়েছে ইনজামাম উল হক, মিসবাহ উল হক, শাহীদ আফ্রিদিএর মত তারকাদের। এই নিয়ে গত এক-দেড় বছর সাত হেভিওয়েটকে সরালো পাক বোর্ড।