টেস্ট ক্রিকেট, ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে পুরোনো আর দীর্ঘ ফর্ম্যাট। বলা হয় যে ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে সফল হতে গেলে আপনাকে টেকনিকের দিক থেকে ভীষণই স্থির আর সংযম দেখাতে হবে। যে খেলোয়াড়রাই ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে ভালো প্রদর্শন করতে সফল হন, তাকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত খেলোয়াড়দের তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়। গত কিছু বছর ধরে টি-২০ ফর্ম্যাট আর বিশ্বজুড়ে খেলা হওয়া টি-২০ লীগগুলির কারণে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম হতে শুরু করেছে। এই কারণে আইসিসি ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচ আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো পদক্ষেপ নিয়ে এই ফর্ম্যাটের প্রতি মানুষের আগ্রহ বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
Read More: ৮৫ মাইল গতির বল এনার কাছে যেন তিন মাইল গতির সমান, সুপারস্টার ভারতীয়ের প্রশংসায় মাইকেল ভন
কিছু প্রায়শই এই প্রশ্ন ওঠে যে আগামিদিনে কতগুলি দল আন্তর্জাতিক স্তরে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাইবে? এই প্রশ্ন নিয়ে প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনও নিজের মতামত দিয়েছেন। তার মতে আগামিদিনে অল্প কয়েকটি দলকেই সাদা জার্সিতে ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে। তিনি এই তালিকায় মাত্র ৫টি দেশের নামই রেখেছেন।
২০২৬ পর্যন্ত মাত্র কয়েকটা দেশই টেস্ট খেলবে – পিটারসন
ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন খেলোয়াড় সকলকে অবাক করে নিজের টুইটে কয়েকটি দলের নাম লিখে জানিয়েছেন যে শুধু মাত্র এই দলগুলিকেই ২০২৬ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে। কেপি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে লেখেন যে, “এই বিষয়টি টুইট করার জন্য যন্ত্রনাদায়ক কিন্তু আমার এমনটা মনে হয় যে ধীরে ধীরে এটাই হবে। ২০২৬ পর্যন্ত কিছু দেশই থাকবে যাদের টেস্ট খেলতে দেখা যাবে। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রালিয়া আর সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকা আর পাকিস্তান”।
This is painful to tweet but I think this is slowly happening…
In 2026 there will only be a few Test Match cricketing nations.
ENGLAND
INDIA
AUSTRALIA
Possibly SOUTH AFRICA & PAKISTAN.
👀— Kevin Pietersen🦏 (@KP24) September 4, 2021
অবাক করার কথা এটাই যে পিটারসন এই তালিকায় নিউজিল্যান্ডের নাম রাখেননি, যারা এই বছর জুন মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল।
ভারত, ইংল্যনাড আর অস্ট্রেলিয়া খেলেছে সবচেয়ে বেশি টেস্ট
জানিয়ে দিই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সংস্করণে দ্বিতীয় নম্বরে থেকে নিউজিল্যান্ডের দল ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিয়ছিল। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটনের মাঠে খেলা হওয়া এই প্রতিযোগীতার ফাইনাল ম্যাচে কিউয়ি দল ভারতকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল। তবে পিটারসনের এই কথা সম্পূর্ণভাবে ভুল নয় কারণ, ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া ছাড়া অন্য সমস্ত দলকে যথেষ্ট কম টেস্ট সিরিজ খেলতে দেখা যায়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সংস্করণে এই তিনটি দলকেই ৩ টেস্ট ম্যাচে ম্যাচের বেশি সিরিজে খেলতে দেখা যাবে।