জনি ব্যারেস্টো যথেষ্ট আক্রামণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত। জনু ব্যারেস্টো যখনই নিজের ছন্দে আসেন তো বড়ো বড়ো বোলাররা তার সামনে অসহায় হয়ে পড়েন। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দল যতই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে যাক, কিন্তু এই ম্যাচে জনি ব্যারেস্টো নিজের ব্যাটিং নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন। ব্যাটিং্যের চেয়ে বেশি আলোচনা জনি ব্যারেস্টোর সেই ছক্কা নিয়ে হচ্ছে, যা তিনি ট্রেন্ট বোল্টের বলে মেরেছিলেন। ব্যারেস্টো যখন এই ছক্কা মারেন তো বল সোজা হায়দ্রাবাদের ডাগআউটে রাখা ফ্রিজে গিয়ে লাগে আর ফ্রিজের কাঁচ গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায়।
ব্যারেস্টো ভাঙলেন ফ্রিজের কাঁচ
জনি ব্যারেস্টো এই শট হায়দ্রাবাদের ইনিংস্র তৃতীয় ওভারে মারেন। ট্রেন্ট বোল্ট এই ওভারে বল করছিলেন। এই ওভারের প্রথম দুটি বলে ব্যারেস্টো বাউন্ডারি মারেন। এই অবস্থায় বোল্ট রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করার জন্য আসেন। স্লো গতিতে করা এই বল জনি ব্যারেস্টোর হিটিং জোনে পড়ে। তিনি পুরো শক্তি দিয়ে বলটিতে শট মারেন, আর বল হাওয়ায় উড়ে অলগ অফের দিকে ছক্কা হয়ে যায়। বল সোজা হায়দ্রাবাদের ডাগআউটে রাখা ফ্রিজের কাঁচে গিয়ে লাগে। আর ফ্রিকের কাঁচ ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায়।
অন্যদিকে সেই সময় মুরলীধরণ কোণায় সরে গিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। তিনি ফ্রিজের একদম সামনেই বসে হিলেন। যদি তিনি নিজের জায়গা থেকে না সরতেন তো কাঁচ ভেঙে আহত হতে পারতেন। সৌভাগ্যবশত সেটা হয়নি।
জনি ব্যারেস্টো পারেননি হায়দ্রাবাদকে জেতাতে
এই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের তরফে জনি ব্যারেস্টো ভীষণই আক্রামণাত্মক ব্যাটিং করে ২২ বলে ৪৩ রান করেন। নিজের এই ইনিংসে ব্যারেস্টো ৪টি দুর্দান্ত ছক্কা আর তিনটি বাউন্ডারি মারেন। কিন্তু এই দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে জয় এনে দিতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে হিট উইকেট হয়ে যান।
ব্যারেস্টো আর অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের আউট হওয়ার পর হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। পুরো দল ২০ ওভারের মধ্যে ১৯.৪ ওভারে ১৩৭ রান করে আউট হয়ে যায় আর ১৩ রানে এই ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
পরপর তিনবার লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হারল হায়দ্রাবাদ
আইপিএল ২০২১ এ সানরাইজার্স হায়দ্রবাদের এটি পরপর তৃতীয় হার। তিনবারই ডেভিড ওয়ার্নারের দল লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ হেরেছে। সবচেয়ে আফসোসের কথা এটাই যে তিনটি ম্যাচেই হায়দ্রাবাদের দল জয়ের কাছাকাছি এসে ম্যাচ হেরেছে। তিন ম্যাচেই এক সময় দল জয়ের কাছেই ছিল কিন্তু নীচের দিকের ব্যাটসম্যানদের খারাপ প্রদর্শনের কারণে দল ম্যাচ হেরে যায়।