ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট ইতিহাসে আমূল পরিবর্তন! সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করে আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ বিজেতা হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বিগত কয়েক বছরের ব্যর্থতা ভুলিয়ে গত রবিবার নবি মুম্বাইতে ইতিহাস গড়লো ভারতীয় দল। ভারতীয় মহিলা দল প্রথম বারের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জয় করলো। বিশ্বকাপের মেগা ফাইনালে অসাধারণ প্রদর্শন দেখালো হারমানপ্রীত বাহিনী। ভারতীয় মহিলা দলের এই সাফল্যের পিছনে হাত রয়েছে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহের (Jay Shah)। একসময় যেখানে অবকাঠামোর অভাব ও স্বীকৃতির লড়াই ছিল নিত্যসঙ্গী, আজ সেই খেলাই দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির মূলধারায়। ভারতে নারী ক্রিকেটে এই পরিবর্তন এনেছে জয় শাহ। বিশ্বকাপ জেতার পর জয় শাহের হাত থেকে শিরোপা নিতে গিয়ে তাঁর পায়ে প্রণাম করতে যাচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত। প্রকাশ্যে আশা ভিডিও থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নারী ক্রিকেটে তাঁর অবদান।
নারী ক্রিকেটে এসেছে সবথেকে বড় সাফল্য

শুধু নারী ক্রিকেটে নয় পুরুষ ক্রিকেটেও জয় শাহের অবদান অনস্বীকার্য। জয় শাহ বিসিসিআইয়ের সচিব থাকাকালীন ও আইসিসি চেয়ারম্যান অবস্থায় ভারতীয় দল গত ১ বছরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। ২০২৪’এর পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০২৫’এর মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় পুরুষ দল জিতেছে ২টি আইসিসি শিরোপা ও মহিলারা সদ্য জিতলেন বিশ্বকাপের খেতাব। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট প্রান্তিক অবস্থায় ছিল। প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উপযুক্ত চুক্তি, প্রশিক্ষণ, কিংবা সুযোগের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।
Read More: “মহিলা ক্রিকেট বন্ধ করে দিতাম..” প্রাক্তন BCCI সভাপতির মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় !!
জয় শাহ প্রশাসনের হাত ধরে ছবিটা বদলাতে শুরু করে। ২০২২ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই পুরুষ ও মহিলাদের জন্য একই ম্যাচ ফি’র ঘোষণা করে। ম্যাচ পিছু টেস্টে ১৫ লক্ষ, ওয়ানডে তে ৬ লক্ষ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩ লক্ষ টাকা নির্ধারন করা হয়। সেই সময়েই জয় শাহ পুরুষদের পাশাপশি নারীদের মর্যাদা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান। ২০০৮ সালে প্রথম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ শুরু হয়। এরপর, ২০২৩ সালে ভারতে চালু হয়েছিল প্রথম মহিলা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট।
ভারতীয় ক্রিকেটের বদলের মূল কান্ডারি জয় শাহ

ভারতীয় ক্রিকেট এখন উন্নতির শিখরে। মাঠে পারফরম্যান্স ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয় এখন আকাশ ছোঁয়া। জয় শাহ সর্বদা পুরুষ ও মহিলা দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মর্যাদা দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ হারের পরেও রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জয়। সেই রোহিতই ভারতকে ৯ মাসের মধ্যে দুটো আইসিসি শিরোপা জেতায়। অন্যদিকে, হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মহিলা দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকলেও জয় হারমানের উপর ভরসা দেখান, সেই হারমানের হাতেই উঠলো বিশ্বকাপ। এককথায়, ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিতে সবথেকে বড় ভূমিকা পালনের কান্ডারি হলেন জয় শাহ।