IPL 2025: গোড়া থেকেই আইপিএলের (IPL) সাথে জড়িয়ে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলো তারা। গত সতেরো মরসুমে নয়বার তারা পৌঁছেছে প্লে-অফে। এর মধ্যে তিনবার ফাইনালও খেলেছে বেঙ্গালুরু (RCB) ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু অধরাই রয়ে গিয়েছে খেতাব। ২০০৯-এ ডেকান চার্জার্সের (DCH) বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিলো তাদের। ২০১০-এ ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। ২০১৬ সালেও ফাইনালে উঠেছিলো তারা। স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন মহাতারকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কিন্তু তারপরেও তীরে এসে ডোবে তরী। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (SRH) মাথায় ওঠে সেরার মুকুট। সেই ব্যর্থতার নয় বছর পর ফের ফাইনালে উঠেছে বেঙ্গালুরু। চতুর্থবারের চেষ্টায় আসবে ট্রফি? অপেক্ষায় সমর্থকেরা।
Read More: RCB vs PBKS: বাদ আর্শদীপ সিং, ফাইনালে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে একাদশে এই তারকার ওপর ভরসা রাখছে পাঞ্জাব !!
‘আন্ডারডগ’ RCB’র আবেদন আকাশছোঁয়া-

গত সতেরো বছর ধরে চেষ্টা করেও আইপিএলে (IPL) সাফল্যের স্বাদ পায় নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। জুটেছে শুধুই হতাশা। এই ক্রমাগত ব্যর্থতার ফলে ‘চোকার্স’ তকমা গায়ে সেঁটে গিয়েছে তাদের। পাশাপাশি ট্রফিহীনতার ট্র্যাজেডি তাদের উপহার দিয়ে সমর্থকদের সহমর্মিতাও। বছরের পর বছর ধরে নিয়ম করে চিন্নাস্বামীর গ্যালারি ভরিয়েছেন আরসিবি অনুরাগীরা। শুধু মাঠে নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁদের উপস্থিতি নজর কাড়ার মত। ইন্সটাগ্রামে এই মুহূর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ফলোয়ার সংখ্যা ২০.৭ মিলিয়ন। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) ফলোয়ার সংখ্যা সেখানে যথাক্রমে ১৮.৬ মিলিয়ন ও ১৮.৪ মিলিয়ন। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার হিসেব জুড়লে বেঙ্গালুরু মোট ফলোয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪২ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪.২ কোটি। অন্যান্য দলগুলির চেয়ে যা অনেকটাই বেশী।
জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ব্র্যান্ডভ্যালুতেও অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পিছনে ফেলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (১০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)’কে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ‘ট্রফিহীন’ বেঙ্গালুরু। সামনে কেবল চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। আরসিবি (RCB)-র ব্র্যান্ড ভ্যালু এই মুহূর্তে ১১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় অর্থাৎ প্রায় ১০০১৫ কোটি টাকা। প্রত্যেক বছর বেঙ্গালুরুর লাভ হয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এর অধিকাংশটাই আসে স্পন্সরশিপ থেকে। ৫০ লক্ষ জার্সিও বিক্রি করে তারা। যদি এবারের ফাইনালে জয় পায় বেঙ্গালুরু, তাহলে খসে যাবে ‘আন্ডারডগ’ তকমা। তার ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাণিজ্যবিশেষজ্ঞরা। একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে যে ১০০-১৫০ কোটি কমে যেতে পারে বেঙ্গালুরুর আয়।
ট্রফিই পাখির চোখ সমর্থকদের-

পরিসংখ্যান, সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব অবশ্য শুনতে রাজী নন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা। গত সতেরো বছর ধরে ট্রফির জন্য নিরন্তর প্রার্থনা করেছেন তাঁরা। আজকের আইপিএল (IPL) ফাইনালে শুধু জয়ই ‘পাখির চোখ’ তাঁদের। সাফল্য চাইছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক রজত পাটিদারও (Rajat Patidar)। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, “আরসিবি’র মত একটা দলকে যখন আপনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যাশা থাকবে। কিন্তু যা আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেটাতেই আমি ফোকাস রাখি। বাস্তবে থাকতে চেষ্টা করি। অধিনায়কত্বের যাত্রাপথটা আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি দলে একটা রিল্যাক্সড পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছি।” শুরু থেকে বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন বিরাট কোহলি। কিংবদন্তি তারকার জন্য আইপিএল জিততে মরিয়া তাঁরা, ফাঁস করেছেন পাটিদার।