IPL 2025: ২০২৪-এর আইপিএল (IPL) শেষ হয়েছে মাত্র মাসদুয়েক আগে। খাতায়-কলমে ২০২৫-এর টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি এখনও দুই মাস। কিন্তু এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। সামনেই রয়েছে মেগা নিলাম। তাকে পাখির চোখ করেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে টুর্নামেন্টের দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি। ইতিমধ্যেই কোচিং স্টাফে রদবদল করেছে দিল্লী ক্যাপিটালস (DC)। শোনা যাচ্ছে একই পথে হাটতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI), গুজরাত টাইটান্স, পাঞ্জাব কিংসের মত দল’ও। অন্তত চার ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল করতে পারে অধিনায়ক। দলগুলির আভ্যন্তরীন রদবদল নিয়ে যখন হইচই ক্রিকেটমহলে, তখন সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইপিএলের (IPL) গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনিক স্তরেও রদবদল চেয়ে সরব হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বিসিসিআই-কে দেওয়া হলো একঝাঁক নয়া প্রস্তাব।
Read More: IPL 2025: গুজরাট নয় বরং SRH’এ সামিল হচ্ছেন যুবরাজ সিং, নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা !!
মেগা অকশন নিয়ে নয়া দাবী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের-
সম্ভবত আগামী ৩০ ও ৩১ জুলাই ২০২৫-এর মেগা অকশনের পরিকল্পনার জন্য আইপিএলের (IPL) দলগুলির সাথে আলোচনায় বসছে বিসিসিআই। তার আগে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার কাছে একঝাঁক দাবী রেখেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারা। তার মধ্যে রয়েছে প্রতি পাঁচ বছরে এক বার মেগা অকশন আয়োজন করার প্রস্তাব। বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে মেগা অকশন আয়োজনের নীতি নেই আইপিএলের (IPL) ক্ষেত্রে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি মেগা অকশন হয়েছিলো। তার পরের মেগা নিলাম হওয়ার কথা ছিলো ২০২১ সালে। যদিও সেটি কোভিড অতিমারির কারণে পিছিয়ে গিয়েছিলো ১ বছর। হয় ২০২২ সালে। এরপর দুই মরসুম কাটতে না কাটতেই ফের বসতে চলেছে মেগা নিলামের আসর।
দুই মেগা অকশনের মধ্যে পাঁচ বছরের ব্যবধান রাখার পিছনে যৌক্তিকতাও বিসিসিআই-এর কাছে তুলে ধরেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। সংবাদমাধ্যমকে এক ফ্র্যাঞ্চাইজির এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে দীর্ঘতর সময়ের ব্যবধানে আদতে দলগুলিকে সাহায্য করবে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নতুন প্রতিভাদের তুলে এনে তাঁদের বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করে তোলার ক্ষেত্রে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে নিলাম হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ক্রিকেটারদের যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দিতে পারবে দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছনোর জন্য। দুটি মেগা অকশনের মাঝে অপেক্ষাকৃত কম সময় থাকলে তরুণ ক্রিকেটারদের উপর বিনিয়োগের পথ থেকে সরে আসতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
রিটেনশন নিয়েও দেওয়া হয়েছে নয়া প্রস্তাব-
২০২৫-এর মেগা অকশনের আগে কতজন ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজগুলি ধরে রাখতে পারবে সেই সম্পর্কেও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা এখনও নেই ক্রিকেটমহলের। আসন্ন বৈঠকে আলোচনা হতে পারে তা নিয়েও। সূত্রের খবর যে তিনজনকে ধরে রাখার ব্যপারে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। তবে জয় শাহ, রজার বিনি’দের কাছে আইপিএলের (IPL) দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি দাবী জানিয়েছে অন্তত ৪ থেকে ৬ জন ক্রিকেটারকে ‘রিটেন’ করার সুযোগ দেওয়া হোক। বিগত বছরগুলিতে যে সব ক্রিকেটারের উপর বিনিয়োগ করেছে দলগুলি, তাদের হাতছাড়া করতে চায় না তারা। এছাড়াও ‘রাইট টু ম্যাচ পদ্ধতি নিয়েও বড় প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আরটিএম ব্যবহার করে নিলামে প্রাপ্ত অর্থের সমমূল্য প্রদান করে ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। আট’টি ‘আরটিএম’ চাওয়া হয়েছে বোর্ডের কাছে।
অনেক সময় প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ নিয়ে খুশি হন না ক্রিকেটাররা। দল ছেড়ে নিলামে নাম লেখানোর চেষ্টায় থাকেন তাঁরা। এই সমস্যা দূর করার জন্য দুটি মেগা অকশনের আগে ক্রিকেটারদের সাথে অর্থ নিয়ে আলাদা করে আলাপ-আলোচনা চালানোর ছাড়পত্র চেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। সেক্ষেত্রে বেস প্রাইস বা কম মূল্যে দলে যোগ দেওয়া খেলোয়াড়রা ভালো পারফর্ম্যান্সের পর সরাসরি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নিজেদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিয়ে দর কষাকষি করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পছন্দের ক্রিকেটারদের হাতছাড়াও করতে হবে না দলগুলিকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়দের মধ্যে এর ফলে সম্পর্কও উন্নত হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। বিসিসিআই-এর তরফে এই প্রস্তাবগুলি আদৌ গ্রহণ করা হয় কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।