IPL 2025: আগামী বছরের আইপিএল (IPL) নিয়ে এখন থেকেই চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। নেপথ্যে মেগা অকশন। নতুন করে দল সাজাতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। কাদের দলে নেওয়া হবে, কারাই বা নাম লেখাবেন বাদের খাতায়, নিলামে কাদের পেতে ঝাঁপাতে পারে কোন দল সেই সব নিয়েই এখন চলছে চর্চা। প্রাক্-নিলাম পর্বে থাকছে রিটেনশন ও রিলিজ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড। ২০২২-এর মেগা অকশনের আগে চার জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো দলগুলিকে। ছেড়ে দিতে হয়েছিলো বাকিদের। এবার সেই রিটেনশন সংখ্যা একই থাকে নাকি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বদল আনা হয় নিয়মে সে দিকেই তাকিয়ে ছিলেন ক্রিকেটজনতা। নীতি নির্ধারণে অনেক সময় খরচ করেছে বোর্ড। অবশেষে সিধান্ত নেওয়ার পথে তারা।
Read More: কপাল পুরলো CSK-KKR’ এর, নিলামের আগে বিসিসিআই RTM নিয়ে দিলো বড় ঘোষণা !!
রিটেনশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে বোর্ড-
মেগা অকশনের আগেই রিলিজ ও রিটেনশন তালিকা প্রকাশ করতে হবে দশ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনো নিয়মবিধি এতদিন প্রকাশ করতে পারে নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার জন্য দেরী হচ্ছে, দলগুলির কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলো বোর্ড। সংবাদসংস্থা এক্সপ্রেস স্পোর্টস মারফৎ জানা গিয়েছে যে অবশেষে রিটেনশন সংক্রান্ত নিয়মবিধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছেন কর্মকর্তারা। গত ৩১ জুলাই মুম্বইতে বোর্ডের সদর দপ্তরে যে বৈঠক হয়েছিলো সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের তরফ থেকে নূন্যতম ছয়জন ক্রিকেটারকে ‘রিটেন’ করার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। এক্সপ্রেস স্পোর্টস জানিয়েছে যে ছয় নয়, বরং পাঁচটি রিটেনশনে সায় দিয়েছে বিসিসিআই।
২০২২ আইপিএল-এর (IPL) মেগা অকশনের আগে চার জন’কে রিটেন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো দলগুলিকে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ জন ভারতীয় খেলোয়াড় থাকতে পারতেন। এবার পাঁচ রিটেনশনের মধ্যে কতজন সর্বোচ্চ কতজন ভারতীয় হতে পারেন সে সংক্রান্ত কোনো নিয়মবিধির কথা এখনও জানা যায় নি। ৩১ জুলাইয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছিলো ‘রাইট টু ম্যাচ’ বা আরটিএম কার্ড ব্যবহার নিয়েও। চারটি রিটেনশনের সাথে দুটি আরটিএম বিকল্পের দাবী তুলেছিলেন সানরাইজার্স কর্ণধার কাব্য মারান। কিন্তু ২০২২-এর মতই ২০২৫-এও আরটিএম ব্যবহারে সায় দিচ্ছে না বোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্র্যান্ড ভ্যালু ধরে রাখার জন্য পাঁচ রিটেনশন’ই যথেষ্ট বলে মনে করছেন রজার বিনি, জয় শাহ’রা (Jay Shah)।
হয়ত সরেই যেতে হচ্ছে ধোনি’কে-
মহেন্দ্র সিং ধোনি’র (MS Dhoni) আইপিএল (IPL) কেরিয়ারের ভবিতব্য ঠিক কি? এক্সপ্রেস স্পোর্টসের রিপোর্ট সামনে আসার পরেও তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত ৩১ জুলাই যে বৈঠক হয়েছিলো বিসিসিআই ও দশ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে সেখানে দাবী তোলা হয়েছিলো এক পুরনো নিয়মকে ফিরিয়ে আনার। বলা হয়েছিলো পাঁচ বছরের বেশী যাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন নি তাঁদের আনক্যাপড খেলোয়াড় হিসেবে ধরার বিষয়টি। যেমনটা দেখা যেত ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্টের জন্মলগ্ন থেকে ২০২১ অবধি। আনক্যাপড ক্রিকেটারদের জন্য দুটি আলাদা রিটেনশন স্লটেরও দাবী করা হয়। যদি এই দুই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিত ভারতীয় বোর্ড তাহলে সহজেই ধোনি’কে রিটেন করতে পারত চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। কিন্তু আপাতত তেমন কোনো ভাবনাচিন্তা বোর্ডের নেই বলেই জানা গিয়েছে।
আগামী আইপিএলের (IPL) সময় ধোনি’র (MS Dhoni) বয়স হবে প্রায় ৪৩ বছর। বিপুল অর্থ খরচ করে তাঁকে রিটেন করা কতদূর লাভজনক হতে পারে তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি। ছয়ের বদলে বোর্ডের তরফে পাঁচটি রিটেনশন স্লটের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মেলায় আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তরুণ ক্রিকেটারদের উপরই বিনিয়োগ করতে চায় পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এমতাবস্থায় হয়ত ধোনি’কে (MS Dhoni) বাদ দিয়েই ২০২৫-এর জন্য পরিকল্পনা সাজাতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। ক্রিকেট মহাতারকা এর আগে জানিয়েছিলেন যে সিএসকে ছাড়া অন্য কোনো দলের জার্সি ভবিষ্যতে হয়ত আর পরবেন না। নিলামে নাম লেখানোর বদলে তাই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে অবসর’ই নিতে পারেন তিনি। তবে ব্র্যান্ড ধোনি’কে ধরে রাখতে তাঁকে মেন্টর হিসেবে নিয়োগ করতেই পারে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)।