TOP 4: ২০০৮ সালে আইপিএলের (IPL) প্রথম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো রাজস্থান রয়্যালস (RR)। এরপর আরও ১৬টি মরসুম কেটে গেলেও দ্বিতীয়বার খেতাব জয়ের সৌভাগ্য হয় নি তাদের। ২০২২ সালে ফাইনালে পৌঁছলেও হারতে হয় গুজরাত টাইটান্সের (GT) বিপক্ষে। ২০২৩-এ শুরুটা ভালো করলেও শেষমেশ প্লে-অফের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারে নি তারা। আর ২০২৪-এ শেষ চারে পৌঁছলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (SRH) বিরুদ্ধে হেরে শেষ হয় ট্রফি অভিযান। ২০২৫-এ ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা। মেগা অকশন থেকে মহাতারকাদের দলে সামিল করার পরিকল্পনা এখন থেকেই সেরে রাখছে তারা। বিসিসিআই কতজনকে ‘রিটেন’ করার সুযোগ দেবে তা নিশ্চিত নয়, তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই ৪ তারকাকে ধরে রাখতে চাইবে রয়্যালসরা (RR)।
Read More: বেঁধে দেওয়া হলো সময়, এই তারিখের মধ্যেই ফিট হতে হবে মোহাম্মদ শামিকে, নাহলে ক্যারিয়ারে পড়বে তালা !!
যশস্বী জয়সওয়াল-
রাজস্থান রয়্যালসের রিটেনশন তালিকায় প্রথম নামটি হতে পারে যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal)। মুম্বইয়ের তরুণ বাম হাতি ওপেনার প্রথম নজর কেড়েছিলেন ২০২৩-এর আইপিএলে (IPL)। তারকা ক্রিকেটারদের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে দেখা গিয়েছিলো তাঁকে। জস বাটলারের সাথে যশস্বী’র (Yashasvi Jaiswal) ওপেনিং জুটি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করেছিলো সেবার। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি। করেন শতরানও। ২০২৩-এ ৬২৫ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪-এর আইপিএলে (IPL) একই ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শতরান করে যশস্বী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। তরুণ তুর্কিকে এখনি হাতছাড়া করতে রাজী নয় রাজস্থান। ২০২৫-এর অকশনের আগে তাঁকে ধরে রাখবে তারা।
সঞ্জু স্যামসন-
দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০২৫-এর আইপিএলের (IPL) জন্য রাজস্থান রয়্যালসে ‘রিটেনড’ হতে পারেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। লম্বা সময় ধরেই দলের অধিনায়ক তিনি। ‘ঘরের ছেলে’ হিসেবে কাটিয়ে ফেলেছেনটা সময়। সঞ্জুর নেতৃত্বেই ২০২২ সালে ট্রফি জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলো রাজস্থান (RR)। গতবারও শুরুটা বেশ ভালো করেছিলো তারা। একটা সময় লীগ তালিকার শীর্ষেও ছিলো। যদিও মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিলো শেষ ল্যাপে এসে। তবুও প্লে-অফে পৌঁছতে সমস্যা হয় নি। ২০০৮-এর পর থেকে আইপিএল ট্রফি জেতে নি রাজস্থান (RR)। ২০২৫-এ সঞ্জুর নেতৃত্বেই খেতাব জয়ের সংকল্প নিচ্ছে তারা। ব্যাট হাতে গত মরসুমে বেশ ভালো পারফর্ম্যান্স করেছেন কেরলের ক্রিকেটার। ৫৩১ রান করে জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে। ফর্ম’ও পক্ষে যাচ্ছে তাঁর।
রিয়ান পরাগ-
রিটেনশন তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেন অসমের রিয়ান পরাগ’ও (Riyan Parag)। প্রতিভাবান তরুণের উপর বেশ কয়েক বছর ধরেই আস্থা রেখে আসছে রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি। পরপর বেশ কিছু মরসুম হতশ্রী পারফর্ম্যান্স করার পরেও নিয়মিত তাঁকে সুযোগ দিয়ে এসেছেন কুমার সাঙ্গাকারারা (Kumar Sangakkara)। অবশেষে ২০২৪-এর আইপিএলে (IPL) ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন রিয়ান পরাগ। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের (RR) অন্যতম সেরা ব্যাটিং অস্ত্র হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিলো তাঁকে। ১৫ ম্যাচে তিনি ৫২.০৯ গড়ে করেন মোট ৫৭৩ রান। চারটি অর্ধশতকও এসেছিলো তাঁর ব্যাট থেকে। বছর ২২-এর অলরাউন্ডারকে ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে ভারতের জার্সিতেও। তাঁকে আগামীর সুপারস্টার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে রিয়ানকে ধরে রাখবে রাজস্থানও।
জস বাটলার-
রয়্যালসদের রিটেনশন তালিকার চতুর্থ নামটি হতে পারে ইংল্যান্ডের তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জস বাটলারের (Jos Buttler)। রাজস্থান ব্যাটিং-এর অন্যতম মুখ তিনি। ওপেন করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই ঝড় তুলতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সাম্প্রতিক অতীতে রয়্যালসদের (RR) সেরা পারফর্ম্যান্স নিশ্চিতভাবেই ২০২২-এর ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া। সেই বছর দলের মূল কাণ্ডারী ছিলেন বাটলারই। ১৭ ম্যাচে প্রায় ৫৮ করে তিনি করেছিলেন ৮৬৩ রান। ছিলো ৪টি শতরান। ও ৪টি অর্ধশতক। আইপিএলের (IPL) এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশী রান করার নিরিখে তৃতীয় স্থানে বাটলার (Jos Buttler)। সামনে কেবল কোহলি ও শুভমান গিল। এক মরসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক শতরানের হিসেবে কোহলির সাথে যুগ্মশীর্ষে তিনি। ২০২৪ মরসুমেও দুটি দুর্দান্ত শতরান করেছেন তিনি। ১১ ম্যাচে করেছেন ৩৫৯ রান। যশস্বীর সাথে তাঁর ওপেনিং জুটি অটুট রাখতে চাইবে রাজস্থান।