IPL 2025: গত ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যালসের প্রয়োজন ছিলো ৯ রান। আবেশ খানের বিরুদ্ধে ৬-এর বেশী তুলতে পারেন নি ধ্রুব জুরেল, শিমরণ হেটমায়ার, শুভম দুবেরা। ২ রানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ান পরাগদের। কার্যত সেই এক ঘটনার অ্যাকশন রিপ্লে আজ দেখা গেলো চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে। শেষ দুই ওভারে বাকি ছিলো ১৮ রান। ক্রিজে ছিলেন জুরেল ও শুভম দুবে। ডেথ ওভারে ফের একবার দলকে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ তাঁরা। হ্যাজেলউডের এক ওভারেই মোড় ঘুরে গেলো ম্যাচের। ২০৬ তাড়া করতে নেমে রাজস্থান থেমে গেলো ১৯৪ রানে। পরপর পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতলেও ঘরের মাঠে সাফল্যের চাবিকাঠি কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলো না বেঙ্গালুরু। আজ ব্যর্থতার সেই অন্ধকার কাটিয়ে উঠলেন বিরাট কোহলিরা। জয়ের পর উঠে এলেন লীগ তালিকার তিন নম্বরে।
Read More: চিরতরে বন্ধ ভারত-পাক ক্রিকেট, পহলগাঁও হামলার পর পিসিবি’কে ‘ভাতে মারার’ ভাবনা বিসিসিআই-এর !!
জোড়া অর্ধশতক কোহলি-পাডিক্কালের-

টসে হেরে প্রথম ব্যাটিং করতে হয়েছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে। ফিল সল্ট দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও দেবদত্ত পাডিক্কালকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বিরাট কোহলি। আজ ৮টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রান করেন বেঙ্গালুরু সুপারস্টার। এই নিয়ে চলতি আইপিএলে পাঁচ নম্বর অর্ধশতক হলো তাঁর। কমলা টুপির দৌড়ে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে তিনি। সামনে কেবল সাই সুদর্শন। নজর কাড়লেন দেবদত্ত’ও। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পেরোলেন অর্ধশতকের গণ্ডী। ৬১ করেন বাম হাতি ব্যাটার। অধিনায়ক রজত পাটিদার রান না পেলেও চমৎকার দু’টি ক্যামিও ইনিংস দেখা গেলো টিম ডেভিড ও জিতেশ শর্মা’র ব্যাট থেকে। অজি অলরাউন্ডার করেন ১৫ বলে ২৩ রান। আর জিতেশ অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ২০ রান করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয়েছিলো বেঙ্গালুরু।
যশস্বীর ব্যাটে ঝড়, লড়লেন রিয়ান’ও-

চোটের কারণে আজও খেলতে পারেন নি সঞ্জু স্যামসন। তাঁর বদলে যশস্বী জয়সওয়ালের সাথে ওপেন করতে নেমেছিলেন বছর চোদ্দর বৈভব সূর্যবংশী। লক্ষ্ণৌর বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন বিহারের কিশোর। কিন্তু আজ ১২ বলে ১৬’র বেশী এগোতে পারেন নি তিনি। যদিও ছক্কা হাঁকান দু’টি। আইপিএলের (IPL) সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার সাজঘরে ফেরার পর বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালালেন যশস্বী জয়সওয়াল। মাত্র ১৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৪৯ রান করেন বাম হাতি তরুণ। স্ট্রাইক রেট ছিলো ২৫৮-এর আশেপাশে। তিন নম্বরে নেমেছিলেন নীতিশ রাণা। তিনি ২৮ রান করলেও খরচ করেন ২২। তবে স্কোরবোর্ডের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন কার্যনির্বাহী অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। চিন্নাস্বামীতে ১০ বলে ২২ রান করেন অসমের তরুণ। মারেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা।
হ্যাজেলউডের চালে জয়ী বেঙ্গালুরু-

১৪তম ওভারে নীতিশ রাণা যখন আউট হন তখন স্কোরবোর্ডে ১৩৪ রান। তুল্যমূল্য বিচারে তখনও রাজস্থানকেই এগিয়ে রাখছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ঘরের মাঠের ফাঁড়া কাটবে না আজও, আশঙ্কায় ছিলেন বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন জশ হ্যাজেলউড। প্রথমে শিমরণ হেটমায়ারকে আউট করেন তিনি। ৮ বলে ১১’র বেশী এগোতে পারেন নি তিনি। প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ধ্রুব জুরেল। কিন্তু অষ্টাদশতম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে তাঁকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান অস্ট্রেলীয় পেসার। ৩৪ বলে ৪৭ রান করে আউট হন উত্তরপ্রদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। পরের বলেই জোফ্রা আর্চারকে আউট করে ম্যাচের রাশ সম্পূর্ণ ভাবে বেঙ্গালুরুর হাতে তুলে দেন শেষ ওভারে বাকি ছিলো ১৭। যশ দয়ালের বিরুদ্ধে তা তোলা সম্ভব হয় নি শুভম দুবে, ফজলহক ফারুখি বা তুষার দেশপাণ্ডেদের পক্ষে।