IPL 2025: আইপিএলের (IPL) প্রথম সুপার সানডে’তে আজ। দিনের প্রথম খেলায় দেখা গিয়েছে রানের রংমশাল। সানরাইজার্সের তোলা ২৮৬-এর জবাবে ২৪২ অবধি পৌঁছে গিয়েছিলো রাজস্থান। আবার চেপকে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে দেখা গেলো সম্পূর্ণ উলটো ছবি। মন্থর স্পিন সহায়ক উইকেটে রান তুলতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটারদের। টসে জিতে প্রথমে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রতিপক্ষকে জাঁকিয়ে বসার সুযোগই দিলেন না তাঁর বোলাররা। রোহিত শর্মা, উইল জ্যাকস বা রায়ান রিকটলন, বড় রানের মুখ দেখেন নি কেউই। তিলক বর্মা’কে সাথে নিয়ে খানিক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু বেশীদূর এগোতে পারেন নি তাঁরাও। নূর আহমেদ ও খলিল আহমেদ-দুই বাম হাতি’র যুগলবন্দীতে আইপিএলের এল-ক্লাসিকো’তে মুম্বইকে ১৫৫ রানের মধ্যেই বেঁধে রাখতে সক্ষম হলো চেন্নাই।
Read More: IPL 2025: “ভয় দেখিয়ে জিতবে…” রাজস্থানকে ৪৪ রানে পরাস্ত করলো হায়দ্রাবাদ, সমাজ মাধ্যমে চর্চা শুরু !!
ব্যর্থ রোহিত, নজর কাড়লেন নূর-

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ধুন্ধুমার ইনিংসের পর প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিলো রোহিত শর্মা’র কাছে। কিন্তু আইপিএলের শুরুতে ব্যর্থই হলেন তিনি। আজ প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে খলিল আহমেদের শিকার হন তিনি। খাতা খোলার আগেই ধরা পড়েন শিবম দুবের হাতে। শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সাফল্য পান নি আরেক ওপেনার রায়ান রিকলটন’ও। খলিলের বল আছড়ে পড়ে তাঁর স্টাম্পে। ৭ বলে ১৩ করেন তিনি। তিন নম্বরে উইল জ্যাকসকে পাঠিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটতে চেয়েছিলো মুম্বই। কিন্তু কাজে আসে নি কোচ মার্ক বাউচারের সেই স্ট্র্যাটেজি। রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার। ৭ বলে ১১’র বেশী এগোতে পারেন নি তিনি। ৩৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলো মুকেশ আম্বানির ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব। হার্দিকের অনুপস্থিতিতে আজ দলের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। স্বভাববিরুদ্ধ ভঙ্গিতেই একপ্রান্ত আগলে রেখে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেলো তাঁকে। তিলক বর্মার সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্টনারশিপ’ও গড়েন তিনি। কিন্তু ক্রিজে জমে যাওয়া সূর্যের রক্ষণে শেষমেশ ফাটল ধরালেন নূর আহমেদ। ইনিংসের একাদশতম ওভারে আফতান তারকার ঘূর্ণির ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন মুম্বই ব্যাটার। তাঁর ব্যাটের নাগাল এড়িয়ে বল জমা পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দস্তানায়। ৪৩ বছরেও তাঁর ক্ষিপ্রতায় যে মরচে ধরে নি তা বোঝালেন মাহি। মুহূর্তে ভেঙে দেন স্টাম্প। ২৬ বলে ২৯ করে থামতে হয় সূর্যকে। ১৩তম ওভারে ফের জ্বলে ওঠেন নূর। চতুর্থ বলে ফেরান রবিন মিঞ্জকে। আর ষষ্ঠ বলে তিলক’কে লেগ বিফোর করে মুম্বইয়ের সমস্যা বাড়ান তিনি।
দীপকের সৌজন্যে ১৫০ পেরোলো মুম্বই-

প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করেছিলেন নমন ধীর। কিন্তু তাঁকে থামতে হয় নূর আহমেদের ঘূর্ণিতেই। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে চেন্নাই জার্সিতে আজ নায়ক তিনিই। স্কোর আদৌ ১৫০’র আশেপাশে পৌঁছতে পারবে কিনা তা নিয়ে একটা সময় দেখা গিয়েছিলো সন্দেহ। কিন্তু নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ২৮ রানের ধুন্ধুমার ক্যামিও ইনিংস খেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সেই মাইলস্টোন পার করালেন দীপক চাহার। ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষমেশ ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রানে থেমেছে তারা। নূর ছাড়ায় বল হাতে নজর কেড়েছেন খলিল আহমেদ। ৩টি সাফল্য তাঁর ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন ও নাথান এলিসের ঝুলিতে। নির্বাসনের কারণে হার্দিক নেই, না থাকার তালিকায় বুমরাহ’ও। এই পুঁজি রক্ষা করা বেশ কঠিনই হবে মুম্বইয়ের জন্য।