IPL 2025: সমাপ্ত হয়েছে গুজরাট টাইটান্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর মধ্যে আইপিএল ২০২৫ এর নবম ম্যাচ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে এই মৌসুমের প্রথম ম্যাচ জয় করল গুজরাট টাইটান্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ১৯৬ রান বানিয়ে ফেলেছিল গুজরাত যা তাড়া করতে এসে ১৬০ রানে শেষ হয়েছে মুম্বইয়ের ব্যাটিং। ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে নিলো গুজরাত।
পাওয়ার প্লে জয় করে নেয় গুজরাত

শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে পাওয়ারপ্লে গুজরাতের নামে করে নেয়। প্রথম চার ওভারে গুজরাত ৩১ রান বানিয়েছিল তবে পরে ৬ ওভারে গুজরাটের স্কোর বিনা উইকেটে ৬৬ রান বানিয়ে ফেলে। দুই ব্যাটসম্যানই ৩২-৩২ রান করে ক্রিজে বহাল ছিলেন। শেষ দুই ওভারে দীপক চাহার এবং মুজিব উর রহমানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাতের দুই ওপেনার।
Read More: IPL 2025 GT vs MI: দুঃস্বপ্ন কাটলো না মুম্বইয়ের, গুজরাতের বিরুদ্ধে ৩৬ রানে হারলেন হার্দিকরা !!
হার্দিকের বলে আবার আউট গিল

পাওয়ার প্লের শেষে ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং করতে আসেন এবং নবম ওভারে বিপক্ষ দলের ক্যাপ্টেন শুভমান গিলকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। ক্যাপ্টেন গিল ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৭৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় গুজরাত টাইটান্স। গিল আউট হলেও জস বাটলার এবং সাই সুদর্শন গুজরাতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান।
সুদর্শন-বাটলারের মধ্যে গড়ে ওঠে পার্টনারশিপ

সাই সুদর্শন এবং জস বাটলারের মধ্যে ৩২ বলে ৫১ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। যেখানে বেশিরভাগ রানটা এসেছিল বাটলারের ব্যাট থেকেই। মুজিব উর রহমানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী রূপ নিতে গিয়ে ২৪ বলে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। ১৪ তম ওভারে ১২৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে গুজরাত।
মধ্য ওভারে ব্যাকফুটে চলে আসে গুজরাত
শেষের দিকে তুলনামূলক ভাবে রান বানাতে ব্যার্থ হয় গুজরাত দলের ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা তারা যেভাবে শুরু করেছিল শেষটা তারা সেভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৬ তম ওভারে বোলিং করতে এসে ম্যাচের তার দ্বিতীয় উইকেট নেন এবং শাহরুখ খানের রূপে গুজরাটকে তৃতীয় ধাক্কা দেন। ৯ রান করে শাহরুখ আউট হন। ১৪৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে গুজরাত।
সুদর্শন আউট হতেই ধুঁকতে থাকে গুজরাত

চাপ বাড়ছিল গুজরাট টাইটান্সের সেট ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শনের উপর। ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত ইয়র্কারে আউট হতে হয় সুদর্শনকে। তিনি ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ছিল চারটি চার এবং দুটি ছক্কা। ১৮ তম অবসরের শেষ বলেই গুজরাট চতুর্থ ধাক্কার সম্মুখীন হয়।
১৯৬ রানে শেষ হয় গুজরাতের ইনিংস

শেষের দিকে রাদারফোর্ডের ১৮ রান বেশ কাজে দিয়েছিল গুজরাতের। সাই সুদর্শনের পঞ্চাশ রানের উপর ভিত্তি করে, গুজরাট টাইটান্স ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে। মুম্বাইয়ের হয়ে সবচেয়ে সফল হার্দিক পান্ডিয়া, যিনি দুটি উইকেট নিয়েছিলেন। ট্রেন্ট বোল্ট, দীপক চাহার, মুজিব উর রহমান এবং সত্যনারায়ণ রাজু একটি করে সাফল্য পেয়েছেন।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বাই

শুরুতেই জোড়া ধাক্কা পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গুজরাত টাইটান্স দলের হয়ে প্রথম দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মোহম্মদ সিরাজ। রোহিত শর্মাকে ৮ রানে এবং রিয়ান রিকেলটনকে ৬ রানে সাজঘরে পাঠান। পাওয়ার প্লের ভিতরেই ৪৮ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বাই।
তিলক-সূর্যের উপর টিকে ছিল মুম্বইয়ের ভাগ্য

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর মুম্বাইয়ের ব্যাটিং সামাল দিতে আসেন সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক ভার্মা দুজনের ব্যাট থেকেই অসাধারণ ব্যাটিং প্রদর্শন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তিলক ও সূর্যের মধ্যে ৪২ বলে ৬২ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
ব্যাকফুটে চলে আসে মুম্বাই
রানের গতি বাড়ানোর তাগিদে হাত খোলেন তিলক ভার্মা তবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ সোলো আর বলে নিজের উইকেট হারিয়ে ফেলেন তিনি। ছত্রিশ বলে তিনটি চার এবং একটি ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে তাকে। পাশাপাশি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যাটিং করতে আসা রবিন মিঞ্জ ৬ বলে তিন রান বানিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
সূর্য-হার্দিক আউট হতেই ভেঙে যায় মুম্বইয়ের জয়ের স্বপ্ন

ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছিল রিকয়ার রান রেট। রানের গতি বাড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ শর্ট খেলেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে মিড অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় শুভমান গিলের কাছে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। ২৮ বলে ১টি চার ও ৪ টি ছক্কায় ৪৮ রান বানান সূর্য। সূর্যকুমার আউট হওয়ার পরই ১৭ বলে ১১ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া। আর হার্দিক আউট হওয়ার সাথে সাথে মুম্বইয়ের জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।
৩৬ রানে ম্যাচ জিতলো গুজরাত
হার্দিক পান্ডিয়া আউট হওয়ার পর ব্যাটিং করতে আসেন অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার। নমনধীরের সঙ্গে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। শেষের দিকে মুম্বাইয়ের বানানো এই রান রানরেটে বেশ সুবিধা যোগাবে। ব্যাট হাতে ১১ বলে ১৮ রান বানান নমন ধীর এবং ৯ বলে ১৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন স্যান্টনার। ১৬০ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ব্যাটিং এবং ৩৬ রানে জয় সুনিশ্চিত করে নেয় গুজরাত টাইটান্স।