IPL 2025: ২০২২ সালে আইপিএলে (IPl) নতুন দুই দল’কে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলো ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস (LSG) ও গুজরাত টাইটান্সের (GT) পথচলা শুরু হয়েছিলো তখনই। প্রথম মরসুমেই সকলকে চমকে দিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছিলো গুজরাত। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও কোচ আশিষ নেহরার (Ashish Nehra) জুটি ফুল ফুটিয়েছিলো টাইটান্সদের হয়ে। দ্বিতীয় মরসুমেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত ছিলো তাদের। ফের ফাইনালে পা রেখেছিলো দল। যদিও শেষ বলে বাউন্ডারি হজম করায় ট্রফি হাতছাড়া হয়। তবে তৃতীয় মরসুমে খানিক ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তারা। দল ছেড়েছেন হার্দিক (Hardik Pandya)। নয়া অধিনায়ক শুভমান গিলের অধীনে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে শেষ করেছে তারা। আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াতে চায় দল। সেই লক্ষ্যেই কোচিং স্টাফে করা হতে পারে রদবদল।
নেহরার ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে জল্পনা-
২০২২-এ গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আশিষ নেহরা (Asish Nehra)। প্রথম দুই মরসুমে তাঁর মগজাস্ত্রের ধার সাফল্যও এনে দিয়েছে টাইটান্স শিবিরকে। কিন্তু তৃতীয় মরসুমের ব্যর্থতা আচমকাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে তাঁকে। ক্রিকেটমহলে জোর গুঞ্জন যে আগামী আইপিএলের মেগা অকশনের আগেই নতুন কোচ নিয়োগের পথে হাঁটতে পারে সিভিসি ক্যাপিটালের মালিকানাধীন গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাদের ব্যাটিং পরামর্শদাতা গ্যারি কার্স্টেন (Gary Kirsten) এমনিতেই সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি হেড কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলে। তাঁর বদলির সন্ধান করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। ডায়রেক্টর অফ ক্রিকেট বিক্রম সোলাঙ্কিকে (Vikram Solanki) সম্ভবত এখনি সরাচ্ছে না দল। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে রেডারে রয়েছেন নেহরাই। কর্মকর্তাদের মধ্যে কারও কারও সাথে সম্পর্কের অবনতির কারণেই চাকরি খোয়াতে পারেন তিনি।
দিনকয়েক আগে শোনা গিয়েছিলো যে হাতবদল হতে পারে গুজরাত টাইটান্সের (GT)। দলের দায়িত্ব হাতে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলো টরেন্ট ফার্মা ও আদানি গ্রুপ। উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগেও (WPL) গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা রয়েছে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর হাতে। তারা যদি আইপিএলেও (IPL) পা রাখে তাহলে গুজরাত টাইটান্সের নাম বদলে উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগের মতই গুজরাত জায়ান্টস (GGT) হতে পারে বলে মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সংবাদসংস্থা ক্রিকবাজ এক রিপোর্টে দাবী করেছে যে এমন কোনো মালিকানা হস্তান্তর যদিও বা হয়, তবে তা হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পর। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে তিন বছরের আবশ্যক লক-ইন চুক্তি রয়েছে বিসিসিআই-এর। অর্থাৎ ডিসেম্বরের অকশনে যে দায়িত্ব সামলাবে সিভিসি ক্যাপিটালই তা একপ্রকার নিশ্চিত।
সাঙ্গাকারার জায়গায় প্রত্যাবর্তন দ্রাবিড়ের-
গুজরাত টাইটান্সের মতই নতুন প্রশিক্ষকের আগমন বার্তা শোনা যাচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসের (RR)অন্দরেও। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা (Kumar Sangakkara) সরে যেতে পারেন সঞ্জু স্যামসনদের দল থেকে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের হোয়াইট বল কোচ ম্যাথু মট সরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বদলি হিসেবে শোনা যাচ্ছে সাঙ্গাকারার নাম। ইংল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের ম্যানেজিং ডায়রেক্টর রব কি’র সাথে সৌহার্দ্য রয়েছে শ্রীলঙ্কান প্রাক্তনীর। জোর গুঞ্জন যে তিনি চাইছেন সাঙ্গাকারা দায়িত্ব নিন দলের। এই নিয়ে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিলো সাঙ্গাকে। হেঁয়ালি জিইয়ে রেখেছেন তিনি। জানান, “আমি জানি কোনো কারণে আমার নাম আলোচনায় রয়েছে। কিন্তু আমাকে এই নিয়ে কোনো রকম প্রস্তাব দেওয়া হয় নি। ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দায়িত্ব একটা আকর্ষক সম্ভাবনা। কিন্তু আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন…”
সাঙ্গাকারা যদি আইপিএল (IPl) ছেড়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখার কথা ভাবেন তাহলে সেই শূন্যপদে বসতে পারেন রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। তিনি সম্পূর্ণ উলটো পথে হাঁটবেন শ্রীলঙ্কান প্রাক্তনীর। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে পা দেবেন আইপিএলের (IPL) অন্দরে। সম্প্রতি টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দ্রাবিড়। তাঁর পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে রাজস্থান রয়্যালস (RR)। এর আগেও রাজস্থানের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। প্রশিক্ষক জীবনের শুরুটা করেছিলেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে খেলার সুযোগ করে দিয়ে তখন প্রশংসিত হয়েছিলেন। পরে মেন্টর হিসেবে যোগ দেন দিল্লী ডেয়ারডেভিলসে (DD)। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠায় সেই সময় বিদায় জানাতে হয় আইপিএল’কে (IPL)।